সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের পর এবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী। পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করে ভাসিয়ে দেওয়া হল নদীর জলে। এই ঘটনায় মেয়েটির কাকা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
[আরও পড়ুন- পুলিশের সামনেই মা-ছেলেকে গণপ্রহার ও কুপিয়ে খুন! চাঞ্চল্য তিনসুকিয়ায়]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তাদের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। শনিবার বিকেলে স্থানীয় শিপ্রা নদীতে মেয়েটির পচাগলা দেহ উলঙ্গ অবস্থায় ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রিপোর্টে শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার শচীন অতুলকর বলেন, “ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর নৃশংসভাব খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উজ্জয়িনীর মহাকাল পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত এলাকায়। একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তারপরই গ্রেপ্তার হয় দুই অভিযুক্ত। তাদের জেরা করার পরেই গ্রেপ্তার হয় আরেক অভিযুক্ত।”
[আরও পড়ুন- সোমবার দিল্লিতে রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ, সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা]
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে আবর্জনা ফেলার জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল আড়াই বছরের শিশুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। মাত্র ১০ হাজার টাকা জন্য ছোট্ট ওই শিশুটির চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছিল। হাত-পা ভেঙে দুমড়ে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশুটির দুই প্রতিবেশী-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর উজ্জয়িনীতে ছোট্ট শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করে নদীতে ভাসানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার হল তারই কাকা।