অর্ণব আইচ: ফের কলকাতায় ‘যকের ধন’। মাত্র ১৫-১৬ দিনের ব্যবধানে ফের লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হল খাস কলকাতা থেকে। ৫০ লক্ষ টাকা পাচার করার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল দুজন। শহরে একের পর টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়াচ্ছে। কোথা থেকে এত টাকা আসছে, প্রশ্ন উঠঠে তা নিয়েও।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অমিত কুমার দে ও রাজেশ মল্লিক। তাদের মধ্যে রাজেশের বাড়ি পূর্ব কলকাতা তপসিয়ার পিকনিক গার্ডেনে। অমিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোনারপুরের বাসিন্দা। বুধবার রাতে সূত্রের খবর পেয়ে বউবাজার থানার পুলিশ আধিকারিক ও লালবাজারের গোয়েন্দারা যৌথ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেন। বউবাজার এলাকার গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। তাদের ব্যাকপ্যাকে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ীরা কী বলছেন? এজলাসে বসেই প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
তারা কোথা থেকে টাকা পেয়েছ, কোথায় টাকা নিয়ে যাচ্ছিল সেই সম্পর্কে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। তারই ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, এই টাকা হাওলার। বউবাজার বা বড়বাজারের হাওলা গদি থেকেই এই ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। গত এক মাসের মধ্যে কলকাতা থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই টাকা পাচারের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। এই ব্যাপারে দুজনকেই জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কমিশন, গণনা ২ মার্চ]
প্রসঙ্গত, বড়বাজারে হানা দিয়ে ষাট লক্ষ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মধ্য কলকাতার বড়বাজার জুড়ে চলে এই অভিযান। তাতেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে বড়বাজার থানার পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই খবর। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিসাব বহির্ভূত বড় পরিমাণ টাকা বড়বাজার ও পোস্তা অঞ্চলে পাচার হচ্ছে, এমন খবর লালবাজারে গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকদের হাতে আসে। তারই ভিত্তিতে গোয়েন্দারা বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন।