সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুটি ক্যাম্প বসানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের কানকের জেলার পাখানজোরে। আদিবাসী অধ্যুষিত ১০৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ক্যাম্প দুটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন ওই অঞ্চলের ৩৮টি প্রধান-সহ ৫০ জনের বেশি পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। জেলা প্রশাসনের তরফে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কানকের (Kanker) জেলার কাটগাও ও কামডেরা এলাকায় দুটি বিএসএফ (BSF) ক্যাম্প তৈরি হওয়ার পরেই গন্ডগোল শুরু হয়। ওই এলাকাটি পঞ্চায়েতের সম্প্রসারিত এলাকার অন্তর্গত বলে দাবি করে অবিলম্বে ক্যাম্প অন্যত্র সরানোর দাবি জানাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। ওই এলাকায় আদিবাসীদের একটি পবিত্র ধর্মস্থান থাকায় কোনওমতে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সমঝোতা করতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় গত বুধবার থেকে পাখানজোর এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আদিবাসী অধ্যুষিত ১০৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ওই এলাকার ৫০ জনের বেশি পঞ্চায়েত প্রতিনিধি পদত্যাগ করে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘বিদেশে’ রাহুল গান্ধী, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির]
এপ্রসঙ্গে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া এক আদিবাসী নেতা টিটলু রাম উসেন্দি বলেন, ‘গত বুধবার থেকে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু, এখনও কোনও ইতিবাচক ঘটনা ঘটেনি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এলে কোনও আশ্বাস দেয়নি। এর জেরে রবিবার কমপক্ষে ৩৮ জন প্রধান, সাত জন পঞ্চায়েত সদস্য, একজন সহকারী প্রধান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য পদত্যাগ করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন। আমাদের এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্যপালের কাছে ক্যাম্প সরানোর দাবিতে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি আমরা।’
অন্যদিকে বস্তার পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলকারীদের পিছনে মাওবাদীদের উসকানি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, মাওবাদীদের দমন করার জন্য ২০২০ সালে বস্তার এলাকায় মোট ১৮টি নতুন বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। কাটগাও ও কামডেরা এলাকায় তৈরি হওয়া ক্যাম্পগুলি তাদের অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে এলাকায় মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত আটকানোর পাশাপাশি উন্নয়নের কাজও হবে। যা সহ্য হচ্ছে না উগ্র বামপন্থীদের। তাই এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।