সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বল্প মেয়াদে সেনায় নিয়োগের (Army Recruitment) প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। সেক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ৫০ শতাংশই সর্বোচ্চ পাঁচ বছরে অবসর নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তিন বা পাঁচ বছরের চুক্তিতে এই সেনাকর্মীদের নিয়োগ করা হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, এর প্রভাব পড়বে ডিফেন্স পেনশন বিলেও।
নতুন এই নিয়োগ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ (Tour of Duty)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রথমবার এই পদ্ধতিতে সেনায় নিয়োগের প্রস্তাব করেছিল ২০২০ সালে। জানা গিয়েছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ পদ্ধতিতে ২৫ শতাংশ সেনাকর্মী নিয়োগ করা হবে ৩ বছরের জন্যে। আরও ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়োগ করা হবে ৫ বছরের জন্যে। ট্যুর অফ ডিউটিকে ‘অগ্নিপথ’ নামে ডাকা হচ্ছে। আর সেনাকর্মীরা হলেন ‘অগ্নিবীর’।
সূত্রের খবর, নতুন পদ্ধতিতে আপাতত ১০০ জনকে নিয়োগ করা হতে পারে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়া বাকি ৫০ শতাংশ সেনা আগের মতোই পুরো সময়ের জন্য কাজ করবেন। তাঁরা নির্দিষ্ট বয়সেই অবসর নেবেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, স্বল্পমেয়াদের সেনাকর্মীর অবসরের পর পেনশন পাবেন?
[আরও পড়ুন: গত কয়েক বছরে বেড়েছে ‘ট্রেন লেট’ হওয়ার প্রবণতা, সংসদে মানল কেন্দ্র]
জানা গিয়েছে, তিন ও পাঁচ বছর কাজ করা সেনাকর্মীরা পেনশন পাবেন। তাঁরাও ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের আওতায় থাকবেন। এছাড়াও তাঁরা ভারতীয় সেনার একাধিক মেডিক্যাল বিমার সুবিধা পাবেন। ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া স্বল্পমেয়াদি সেনাকর্মীদের বেতন হতে পারে মাসিক ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটি সূত্রে জানাচ্ছে, এই পদ্ধতিতে সেনা অধিকারিক নিয়োগ করা হবে না, কেবলমাত্র সেনাকর্মী নিয়োগ করা হবে।
[আরও পড়ুন: পান থেকে চুন খসলেই আদালতে, ৪১ বছরে ৬০টি মামলা স্বামী-স্ত্রীর, হতবাক প্রধান বিচারপতি]
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর থেকে সেনায় নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি সেনায় নিয়োগ বন্ধ থাকা নিয়ে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। রাজস্থান থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দৌড়ে এই বিক্ষোভে সামিল হন এক যুবক। যে ঘটনার পর সেনায় নিয়োগ কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে শেষ দু’ বছরে ১১ লক্ষ সেনাকর্মী অবসর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।