সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গেলে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের কোষাগার থেকে, এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচনের আগে সবমিলিয়ে পাঁচরকম খয়রাতির ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস (Congress)। তারপরেই বিপুল ভোটে জিতে কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে হাত শিবির। কিন্তু তারা কীভাবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কর্ণাটকে (Karnataka Election) ১৩৫টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। তার আগে মোট পাঁচটি প্রধান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। তার মধ্যে রয়েছে গ্ররুহ জ্যোতি প্রকল্প, যার মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। অন্ন ভাগ্য প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মাসে ১০কেজি চাল দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। গ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী বেকারদের যথাক্রমে ৩ হাজার ও ১.৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর ক্ষোভে ফুঁসছে এগরার খাদিকুল! ‘সব অভিযোগ সত্যি নয়’, বলছে অভিযুক্ত ভানু বাগের পরিবার]
এছাড়াও নারী কল্যাণের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক পরিবারের প্রধানা মহিলাকে গ্রুহ লক্ষ্মী প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ২ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সরকারি বাসে বিনামূল্যে মেয়েদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হবে বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে দাবি করে কংগ্রেস। ক্ষমতায় ফেরার পরে এই প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যয়ভার নিয়ে আলোচনা হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেই।
সেখানেই জানা গিয়েছে, বার্ষিক ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের কোষাগার থেকে। তবে এই বিপুল অঙ্কের খরচকে খয়রাতি হিসাবে না দেখে উন্নয়ন হিসাবেই ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস। তবে এই খরচের হিসাব প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমেছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের ধারেকাছেও যাবে না কংগ্রেস। যদি বা এই জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চায়, তাহলে দেউলিয়া হয়ে যাবে কর্ণাটক।