সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে বিয়ে, ধর্মান্তরণ৷ ৫২ বছর বয়সী মার্কিন মহিলা ডংসং লং চুয়াডাঙার ফয়জল আহমেদকে বিয়ে করে আদালতে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছেন৷ তাঁর নতুন নাম হয়েছে মরিয়ম খাতুন৷ কিন্তু রহস্যের বিষয় এটাই যে বিয়ের পর থেকে দম্পতি পুরোপুরি উধাও৷ তাদের কোনও খোঁজখবর নেই৷
প্রেম ধর্ম,বর্ণ, জাতপাত কিছুই মানে না। তাই প্রেমের টানে ৫২ বছরের ডংসং লং ছুটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত প্রামে, ২৭ বছরের প্রেমিক ফয়জলের কাছে। চুয়াডাঙার ছেলে ফয়জল আহমেদকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছেন ডংসং। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফয়জল আগে থেকেই বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে গিয়ে প্রেমিক ফয়জলকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙা জজ আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়েছেন৷ মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করেন ডংসন লং। মরিয়ম খাতুন হয়ে ফয়জলকে বিয়ে করেন।
[ আরও পড়ুন : OMG! স্কুলের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সানি লিওন ও মিয়া খলিফা!]
চুয়াডাঙা জেলা জজ আদালতের নোটারি পাবলিকের আইনজীবী এসএনএ হাসেমি বলেন, ‘মধ্যবয়সী এক মার্কিন নারীকে ফয়জল বিয়ে করেছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন।’ কিন্তু ফয়জল বিবাহিত, তাঁর সন্তানও রয়েছে৷ তারইমধ্যে কীভাবে মার্কিন মহিলার সঙ্গে আলাপ-প্রেমপর্ব, তা নিয়ে সংশয়ী তাঁর পরিবার৷ তাঁদের সন্দেহ, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ফয়জল আরেক মহিলাকে বিয়ে করার ফলেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন৷ হয়ত অন্যত্র সংসার পেতেছেন ফয়জল-মরিয়ম৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁরা কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে৷ ফয়জলের স্ত্রী’র অভিযোগ, তাঁকে এবং ছোট সন্তানদের ফেলে আগেও বেশ কয়েকবার উধাও হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী৷ কয়েকদিন পর ফের ফিরে এসেছিলেন৷ এরই মাঝে মার্কিনী মহিলা ডংসংয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে সন্দেহ পরিবারের৷ তবে বিয়ের ব্যাপার পুরোটাই অজ্ঞাত ছিল পরিবারের সদস্যদের কাছে৷ স্বয়ং আইনজীবীর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরই তাঁরা নিশ্চিত হন৷ পরিবারের একটাই প্রার্থনা, নববিবাহিত বিদেশিনী স্ত্রী মরিয়মকে নিয়েই ঘরে ফিরে আসুক ফয়জল আহমেদ৷
[আরও পড়ুন : নিজেদের দেশে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারা, নতুন সমস্যায় বাংলাদেশ]
The post ২৭ বছরের প্রেমিকের টানে মার্কিন মুলুক থেকে বাংলাদেশে প্রৌঢ়া appeared first on Sangbad Pratidin.