সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত৷ গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হয়ে নিজের আখের গোছাতে এবাজারে কত কী না করতে হয় এদেশের রাজনৈতিক কারবারিদের৷ বলতেও হয় অনেক কিছু৷ আর তা বলতে গিয়েই বাধে যত বিপত্তি৷ নেতা-মন্ত্রীদের মুখের নিঃসৃত বাণী নিয়ে চলে আলোচনা-পর্যালোচনা!
সম্প্রতি প্রকাশিত এডিআর রিপোর্ট বলছে, দেশের রাজনীতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করার নিরিখে শীর্ষে বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা৷ সমীক্ষা বলছে, খারাপ মন্তব্য করার জন্য অন্তত ৫৮ জন সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে৷ পার্টি লাইন উপেক্ষা করেই মন্তব্য করতে গিয়ে মামলার গেরোয় পড়েছেন লোকসভার অন্তত ১৫ জন সাংসদ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও মামলাগুলি চলছে৷ জানা গিয়েছে, এই ১৫ জন সাংসদের মধ্যে ১০ জনই বিজেপির৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এআইইউডিএফ৷ তৃতীয় স্থানে টিআরএস৷
[নয়া দল ঘোষণা করে রাজনীতির ময়দানে লড়াই শুরু বাইচুংয়ের]
সমীক্ষা বলছে, ৪৩ জন বিধায়কের মধ্যে কুকথা বলার অপরাধে মামলা ঝুলছে ১৭ বিজেপি বিধায়কের কপালে৷ এর মধ্যে পাঁচ টিআরএস ও এএমডিএমকের, তিন জন টিডিপি, দু’জন কংগ্রেস ও একজন করে তৃণমূল, জেডিইউ ও শিবসেনার বিধায়ক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
এখানেই শেষ নয়৷ অন্য সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৫১ জন বিধায়ক ও সাংসদরা অপহরণ, শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহ-সহ একাধিক অপরাধের পরও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৫১ জনের মধ্যে ৪৮ জন বিধায়ক এবং বাকিরা সংসদের সদস্য। গণতান্ত্রিক সংস্কার সংগঠনের প্রকাশিত এই তথ্য আরও জানাচ্ছে, তালিকায় সবার উপরে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক ও সাংসদরা (১৪ জন)।
তার পরই শিব সেনা (৭ জন) এবং তিন নম্বরে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (৬ জন)। এই সমস্ত বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলাদের অপহরণ, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তা, অশালীন আচরণ এমনকি বধু নির্যাতনেরও অভিযোগ দায়ের রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন। বিধায়ক-সাংসদ মিলিয়ে দেশের প্রায় ১৫৮১ জন নেতার (৩৩%) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫১ জন মহিলা ঘটিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
[OMG! নবদম্পতিকে দেওয়া উপহারের প্যাকেটে বোমা, গ্রেপ্তার অধ্যাপক]
The post খারাপ মন্তব্য করার নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা appeared first on Sangbad Pratidin.