সুকুমার সরকার, ঢাকা: আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করেছে আমেরিকা। কাবুল বিমানবন্দর এখন তালিবানের দখলে। এহেন ডামাডোল পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে কাবুল থেকে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের ছয় নাগরিক।
[আরও পড়ুন: সমকামী আন্দোলনকারী হত্যায় ৬ আনসার জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশ]
জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের মোবাইল ফোন অপারেটর আফগান ওয়্যারলেসে কর্মরত ছিলেন ওই ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা দেশে ফিরেছেন। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শহর দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকায় ফেরেন।সূত্রের খবর, সে দেশে এখনও কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আটকে রয়েছে।
বলে রাখা ভাল, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে গত বৃহস্পতিবার ১৫ বাংলাদেশির দেশে আসার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীরও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। গত বুধবার দুপুর থেকে তাঁরা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তাঁরা নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।
এদিকে, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। কাবুলের পতনে হাওয়া লেগেছে ‘গ্লোবাল জেহাদ’-এর পালে। এহেন সংকট কালে বাংলাদেশে (Bangladesh) সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের শাসকদল আওয়ামি লিগ। কয়েকদিন আগেই ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন যে তালিবানে যোগ দিতে আফগানিস্তানের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন নাগরিক। তাদের উদ্দেশ্য ইসলামের নামে ‘খিলাফত’ তৈরি করা।
উল্লেখ্য, সোমবার গভীর রাতে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে উড়ে গিয়েছে শেষ মার্কিন বিমান। পুরোপুরি তালিবানরাজের (Taliban) সূচনা হয়ে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে ভয় দানা বাঁধছিল তা আরও গাঢ় হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের প্রায় প্রতিটি এটিএম (ATM) কাউন্টারের বাইরেই ক্রমশ দীর্ঘ হয়েছে লাইন। খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে দেশে। সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।