রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির সংগঠনের জাতীয়স্তরে গুরুত্ব কমেনি বাংলার। জাতীয় কর্মসমিতি তথা ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি (BJP National Executive Committee) ঘোষণা করল বিজেপি। সেখানে নাম রয়েছে একাধিক বঙ্গনেতার। এদিকে বঙ্গ ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরও বাংলার পর্যবেক্ষক পদে থাকছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেনন। তাৎপর্যপূর্ণ জাতীয়স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।
আগামী বছরই সাত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজ্য হল- উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট। আবার ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে ঢেলে সাজানো হল বিজেপির জাতীয়স্তরের সংগঠন- ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি। বৃহস্পতিবার তাদের সেই ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। ৮০ সদস্যের কমিটিতে নাম রয়েছে বাংলার ছয় নেতার। রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, তৃণমূলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদী, ভারতী ঘোষ, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত এবং নব্য বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: প্যান্ডেলে গিয়ে অঞ্জলি দিতে লাগবে টিকার জোড়া ডোজ, নয়া গাইডলাইন আদালতের]
কমিটির মাথায় রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কমিটিতে রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলীমনোহর যোশী, অমিত শাহরা। এবার সেই কমিটিতে এলেন ৬ বঙ্গনেতা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় বাংলাকে গুরুত্ব দেয়, বিরোধীদের এই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতেই বাংলার ছয় নেতাকে কমিটির সদস্য করল গেরুয়া শিবির।
কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে রইলেন বাংলার ড. অনুপম হাজরা। বাংলা থেকে একমাত্র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ। আবার বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যদের মধ্যে নাম রয়েছে বিক্ষুব্ধ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ জয়ন্ত রায়, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক অশোক লাহিড়ি এবং মাফুজা খাতুনও। রাজনৈতিক মহল বলছে, ডোমজুড়ে প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলত্যাগী রাজীবের বিজেপি-ত্যাগ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিতে তিনি নিষ্ক্রিয়। এমনকী, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেই রাজীবকে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যদের তালিকায় রেখে বিক্ষুব্ধ নেতাকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল বিজেপি।
[আরও পড়ুন: জোট না হলেও ৩ আসনে বামেদের সমর্থন, উপনির্বাচনে শুধু শান্তিপুরে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস]
একুশের ভোটে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তার পর বাংলার তিন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেননের বিরুদ্ধে দলের অন্দরেই ক্ষোভ বাড়ছিল। তবু তাঁদের হাতেই বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব রেখে দিল গেরুয়া শিবির।