সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা (Coronavirus)। তবু হুঁশ ফিরছে না আমজনতার। করোনাবিধি মেনে চলা তো দূরে থাক, মাস্কও পরছে না অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠক সারল নবান্ন। শনিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠক শেষে করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে বৈঠক শেষে মাস্ক ব্যবহারে জোর দেন মুখ্যসচিব। এমনকী, জনবহুল এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা পর রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩ হাজারের নিচে নামল। কমল সংক্রমণের হারও। তবে সামান্য বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবার সন্ধের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যজুড়ে করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৯ জন। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৩ জন। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে ৫৭৭ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। ২২৯ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূম। সংক্রমণের নিরিখে একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর। একশো ছুঁইছুঁই দার্জিলিং এবং মালদহের করোনা সংক্রমণ। ঝাড়গ্রাম এবং কালিম্পংয়ে সংক্রমিত দশের নিচে।
[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল বাড়ির অন্দরে রমরমা মাদক কারবার, কাটোয়ায় STF-এর জালে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী]
বর্তমানে পজিটিভ কেস ২০ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৯৯। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রায় সকলের। শনিবার করোনা প্রাণ কেড়েছে ৬ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২১ হাজার ২৭১ জন মারণ ভাইরাসের বলি। মৃত্যুহার ১.০৩ শতাংশ।
ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সকলের। তবে এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতা। কারণ, করোনাকে হারিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৬৩ জন। যা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এখনও পর্যন্ত কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ১৬ হাজার ৩১৫ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৪৯ শতাংশ।
করোনাকে রোখার হাতিয়ার হিসাবে টেস্টিংয়ের উপরেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শনিবার ১৫ হাজার ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৮২ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ১৮.০৫ শতাংশ। টিকাকরণের উপরেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে আরও সাবধানী হওয়ার বার্তা চিকিৎসকদের। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।