সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টির জেরে কেরলের ওয়ানড়ে ভয়ংকর ভূমিধস। জানা যাচ্ছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আটকে রয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব জায়গায় ধস নেমেছে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে নামছে দেশের বায়ুসেনাও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ানড়ের কালপেট্টা থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেপ্পাদির পাহাড়ি অঞ্চলের একাধিক পাহাড়ে ধস নামে। রাত ১টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধসের খবর পাওয়া যায়। এর ঘণ্টা তিনেক পর ওই এলাকায় এক স্কুলের কাছে দ্বিতীয় ধস নামে। আশেপাশের বাড়ি ও দোকানের মধ্যে জল কাদা ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভেসে যায় একাধিক গাড়ি। এই ঘটনায় এলাকায় অন্তত ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। ভেঙে পড়ে একটি ব্রিজ। যার জেরে ব্যহত হয় উদ্ধারকাজ।
[আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল, লাইনচ্যুত হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি, মৃত অন্তত ২]
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় প্রশাসন। দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয় ওই এলাকায়। কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোরের দুটি টিমকেও ওয়ানড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। রাজ্যের সব সরকারি এজেন্সিকে উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যদিও ব্যাপক বৃষ্টির জেরে পদে পদে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। কেরলের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে দুটি হেল্পলাইন নম্বরও খোলা হয়েছে, 9656938689 এবং 8086010833। যে কোনও রকম আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই দুই নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে কেরল প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে কে? স্থায়ী সভাপতির খোঁজে হাইকমান্ড]
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে এই দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য সুলুর থেকে ওয়ানড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুন্ডাক্কাই থেকে দুর্গতদের যাতে এয়ারলিফট করা যায় সে চেষ্টা চলছে। এলাকার বিধায়ক টি সিদ্দিকি বলেন, ধসের ফলে নিখোঁজ ও মৃতের নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। এদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে চলেছে। ওই এলাকায় ধস যে নামতে পারে তার আগাম সতর্কবার্তাও দিয়েছিল প্রশাসন।