সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের প্রতিটি পাতা তাঁদের ছাড়া অসম্পূর্ণ৷ অথচ তাঁরা কেউ নায়ক নন, খলনায়ক বা ট্র্যাজিক নায়কের আখ্যা পেয়েছেন মহাকাব্যে৷ তবে, ভাল এবং মন্দ দুইই আপেক্ষিক৷ বেশিরভাগের কাছে যারা কেবল মন্দ-বঞ্চিত চরিত্রমাত্র, অল্পসংখ্যকের কাছে তাঁরাই পূজিত৷
শকুনি৷ মহাভারতের এই চরিত্রের নাম শুনলেই অনেকেই ভুরু কুঁচকাবেন৷ কিন্তু, জানেন কী, এই ভারতেই রয়েছে শকুনি মন্দির৷ কেরলের পবিত্রেশ্বরমের এই মন্দিরের ভিতরে রয়েছে শকুনির ব্যবহৃত সিংহাসনও৷ যেখানে আজও তন্ত্রমতে পুজো হয়৷ অর্পণ করা হয় নারকেল, রেশম ও তাড়ি৷
শকুনির মন্দিরের পাশেই অবস্থিত দূর্যোধন মন্দির৷ যাকে মলনদ মন্দিরও বলা হয়ে থাকে৷ দূর্যোধনের মন্দির দেশে খুঁজলে আরও দু-একটি মিলবে বটে, কিন্তু এই মন্দির সম্পূর্ণ আলাদা৷ এখানে দেবতাকে পুজো দেওয়া হয় তাড়ি, দেশি মোরগ ও লাল কাপড় সহযোগে৷
রাবণ৷ এই নাম ছাড়া রামায়ণ রচনা সম্ভব হত কি? অতি বড় তর্কবাগীশও বোধহয় অস্বীকার করতে পারবেন না তাঁর নামমাহাত্য৷ দক্ষিণে রাবণের পুজো হওয়াটা কোনও অজানা কথা নয়৷ কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার এই মন্দিরে রাবণকেই তিন লোকের অধীশ্বর হিসেবে ধরা হয়৷
খলনায়ক তিনিই ছিলেন না, ছিলেন মহাভারতের ট্র্যাজিক নায়ক দানবীর কর্ণ৷ মহান হৃদয়ের এই যোদ্ধার জন্যই তৈরি উত্তরকাশীর দেওয়ারের এই মন্দির৷ এর চৌকো আকার ও কাঠের কারুকার্য অন্য মন্দিরের থেকে আলাদা দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ স্থানীয় লোকের বিশ্বাস, মন্দিরের গায়ে পয়সা ছুঁড়লে মনের কামনা পুর্ণ হয়৷
একশো সন্তান ছিল তাঁর৷ কেউ বাঁচেনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে৷ চোখ থেকে সারা জীবন কাটাতে হয়েছিল অন্ধকারে৷ গান্ধারীর এই আত্মত্যাগই তাঁকে দেবী করে তুলেছে মাইসুরুতে৷ যদিও মন্দিরটি তৈরি হয়েছে ২০০৮ সালে৷
ভীষণ প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন, তাই নাম হয়েছিল ভীষ্ম৷ সারা জীবনের আত্মত্যাগই তাঁকে এলাহাবাদের দারাগঞ্জের মানুষের কাছে করে তুলেছে পূজ্য৷ মন্দিরের ভিতরের মূর্তিতে ভীষ্মকে শরশয্যায় শায়িত দেখানো হয়েছে৷
The post যেখানে পূজিত হন মহাকাব্যের মন্দ চরিত্ররা appeared first on Sangbad Pratidin.