অর্ণব দাস, বারাসত: মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে ফেরার পথে ট্রাক চালককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অধিকাংশ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। আমডাঙা থানার (Amdanga Police Station) পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ট্রাক চালক।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১০ চাকার একটি মাছ বোঝাই ট্রাক অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রওনা দেয় রানাঘাটের উদ্দেশে। গত ১অক্টোবর ট্রাকটি নদিয়া জেলার রানাঘাটে পৌঁছয়। মাছ বিক্রির ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে ট্রাকটি বুধবার ভোররাতে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রাকটি। টাকা রাখা ছিল একটি ক্রেটের মধ্যে। গাড়িতে ছিলেন চালক দরমা রাও এবং একজন খালাসি। অভিযোগ, ট্রাকটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ায় সময় আমডাঙা থানার গাদামারা হাট সংলগ্ন এলাকায় একদল দুস্কৃতী ট্রাকের পথ আটকায়। একদম ফিল্মি কায়দায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা, চালকের প্যান এবং আধার কার্ডও ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে, গুলি করে খুন, তীব্র উত্তেজনা বসিরহাটে]
অভিযোগ, চালককে মারধর করে তাঁর প্যান এবং আধার কার্ডও ছিনিয়ে নেয়। এরপর ট্রাক চালক দরমা রাও আমডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রানাঘাটের বাসিন্দা সুনিতকুমার ভৌমিক এই দুষ্কৃতীদলকে নিয়োগ করেছিল। এরপরই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে আমডাঙ্গা থানার আইসি রানাঘাটে পৌঁছে বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করে ৪০ লক্ষ টাকা, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র, চালকের আধার এবং প্যান কার্ড।
এদিন আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জন কুমার দত্ত বলেন, ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ছিনতাইয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশিরভাগ টাকা-সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করাটা আমডাঙা থানার পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করছে জেলা পুলিশের কর্তারা। এই বিষয়ে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”