সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে লাগাতার ছাতার বাড়ি মেরে চলেছেন বছর ষাটের বৃদ্ধ। পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখেও কোনও প্রতিবাদ করছেন না কেউ। উলটে এই অমানবিক ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত তারা। লাগাতার মারের জেরে মৃত্যুই হয় ওই বৃদ্ধার। এমনই শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটল রাজস্থানের উদয়পুরের আদিবাসী এলাকায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতার নাম কল্কি বাই গমেতি। বয়স ৮৫। অভিযুক্ত প্রতাপ সিংয়ের ছাতার লাগাতার বারিতেই প্রাণ হারান তিনি। পুলিশের দাবি, আকণ্ঠ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন প্রতাপ সিং। মদ্যপানের পর কোনও হুঁশ ছিল না তাঁর। এমনকী তিনি নিজেকে শিবের অবতার হিসেবে ভাবছিলেন। যিনি কাউকে হত্যা করে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষমতাও রাখেন। আর সেই ভাবনা থেকেই নাকি ওই বৃদ্ধাকে মারতে শুরু করেন। এক ব্যক্তি তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলেও সেসব কথা কানে নেননি অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ‘সভ্য সমাজের উপযুক্ত?’, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের]
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধার পাশে বসে প্রতাপ সিং বলছেন, তিনি শিবের উপাসক। শিবই তাঁকে পাঠিয়েছেন ওই বৃদ্ধার কাছে! “তুমি মহারানি।” বলেই কল্কির বুকে সজোরে ঘুষি মারেন প্রতাপ সিং। তাতেই মাটিতে লুকিয়ে পড়েন কল্কি। এরপর তাঁর চুলে মুঠি ধরে টানতে থাকেন অভিযুক্ত। তারপর ছাতা দিয়ে শুরু হয় লাগাতার মার।
উদয়পুরের সুপারিনট্যান্ড্যান্ট ভুবন ভূষণ জানান, ভিডিওতে দুই নাবালককেও দেখা গিয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। বৃদ্ধাকে হত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।