সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরাট দুর্নীতি ছত্তিশগড়ে (Chhatishgarh)। ছত্তিশগড় স্টেট মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেডের অডিটে ধরা পড়ল ওই বিরাট অনিয়ম। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ ছড়াই ৬৬০ কোটি টাকা মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জিনিস কেনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান হিসাব রক্ষকের একটি চিঠি থেকে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর অডিটে ধরা পড়েছে, ৭৭৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিলি করার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জিনিস কিনেছিল কর্পোরেশন। যদিও এর মধ্যে ৩৫০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করার মতো পরিকাঠামো ছিল না। তার পরেও কেন কোটি কোটি টাকার সরঞ্জাম কেনা হল? অডিট সূত্রে অভিযোগ, স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক কোনওরকম সমীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলিতে কটি ঘর রয়েছে, শয্যার সংখ্যা, কর্মীসংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনা না করেই কয়েক কোটির চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: গাড়ি-সহ বাচ্চা চুরি, ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি! ৩ ঘন্টায় উদ্ধার পুলিশের]
যেমন, রায়পুরের ভাটগাও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য কেনা হয়েছে সোনোগ্রাফি এবং এক্স-রে মেশিন। যদিও বিশেষজ্ঞের অভাবে ওই মেশিন পড়ে রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ হর্সিতা তেকাম জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা, রক্তচাপ মাপা ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের অভাবে আধুনিক চিকিৎসাযন্ত্র থাকলেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। উর্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবার গুচ্ছের চেয়ার এলেও তা রাখার জায়গা নেই। এই ধরনের ঘটনার সমালোচনা করেছেন প্যারামেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নরেশ সাহু। তিনি বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের PET স্ক্যান গামা মেশিন কেনা হয়েছিল শহরের সেরা হাসপাতালের জন্যে। সেই মেশিন আজ অবধি কর্মহীন পড়ে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: হবু প্রধানমন্ত্রী অখিলেশ! সপা দপ্তরে বিশাল হোর্ডিং, ভ্রু কুঞ্চিত ‘ইন্ডিয়া’র]
অডিটের পরে ছত্তিশগড় স্টেট মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিকদের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গোটা প্রক্রিয়ার তদন্ত শুরু হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এত বড় দুর্নীতি সামনে আসায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির বিজেপি।