সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ২২ বছরের এক বাংলাদেশি তরুণীকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হল ৭ জনকে। পাশাপাশি আরও ৪ অভিযুক্তকেও দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হয়েছে। অপরাধীদের মধ্যে ৩ জন মহিলা। অভিযুক্তদের সকলেই বাংলাদেশের (Bangladesh) বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে জানা গিয়েছে।
গত বছরের ২৭ মে গণধর্ষণের শিকার হন মহিলা। সেই নির্যাতনের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে। পরে তা পুলিশের নজরে এলে তদন্ত শুরু হয়। প্রথমেই গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। পরে আরও ৫ জন গ্রেপ্তার হয়। সব মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও একজন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। বাকিদের মধ্যে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক মহিলা। এছাড়া এক পুরুষকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড। বাকি দুই মহিলাকে ৯ মাসের সাজা শোনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, বরাতজোরে বাঁচলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব]
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের চাকরির টোপ দিয়ে ভারতে নিয়ে আসত ওই অনুপ্রবেশকারীরা। তারপর তাঁদের ফাঁদে ফেলে নামানো হত দেহব্যবসায়। এই ভাবেই বেঙ্গালুরুর রামমূর্তিনগরে আনা হয় নির্যাতিতা মহিলাকেও। কিন্তু তিনি দেহব্যবসায় নামতে আপত্তি করায় তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু হয় পাচারকারীদের। এরপরই ওই পাচারকারীদের হাতে নিগৃহীত হতে হয় তরুণীকে। সেই অত্যাচারের ভিডিও-ও তুলে রাখা হয়। ভিডিওয় চার পুরুষের সঙ্গে এক মহিলাকেও দেখা যায় নির্যাতিতার উপরে অকথ্য নির্যাতন চালাতে। পরে তা ছড়িয়েও পড়ে। আর এতেই সমস্যায় পড়ে অপরাধীরা। পুলিশ তাদের সন্ধানে নামার সূত্র পেয়ে যায়।
শেষপর্যন্ত একে একে সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়। অবশেষে তাদের সাজাও শোনাল আদালত। উল্লেখ্য, যেহেতু এই অপরাধে যারা শামিল তারা সকলেই অন্য দেশের বাসিন্দা তাই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-ও তদন্তের দিকটি খতিয়ে দেখেছিল বলে জানা গিয়েছে।