সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের তুরতুক সেক্টরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেনাবাহিনীর বাস। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জওয়ান। আহত ১৯। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ড্রোন উড়িয়ে সব নজর রাখছি’, সরকারি কাজে ফাঁকিবাজি ধরার রহস্য ফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী]
সেনা সূত্রে খবর, এদিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে পড়ে যায় সেনাবাহিনীর একটি বাস। ওই বাসে সওয়ার ছিলেন ২৬ জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকিদের সেনার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়েস্টার্ন কমান্ডের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এই কাজের জন্য বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং (Pangong) থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে।
এহেন পরিস্থিতিতে লাদাখে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। জোরকদমে চলছে নজরদারি। কারণ, প্যাংগং হ্রদ থেকে বাহিনী সরালেও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের বেশকিছু এলাকা এখনও লালফৌজের দখলে।