দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দেশের পাশাপাশি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। এই পরিস্থিতিতেও বাজারে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষ অক্সিজেন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই সবদিক বিচার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলায় মোট সাতটি অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর (Baruipur), ক্যানিং (Canning), জয়নগর ও ডায়মন্ড হারবার -সহ বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে জেলায় অক্সিজেনের অভাব মিটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের (Budge Budge) শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন প্লান্টকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের উপযোগী তৈরির পরিকল্পনাও করছে সরকার। তাছাড়াও মহেশতলার আরও একটি অক্সিজেন প্লান্টের কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন ফেরত চাইল সরকার, রাজ্যের বেসরকারি ক্ষেত্রে অনিশ্চিত টিকার দ্বিতীয় ডোজ]
এ বিষয়ে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “ইতিমধ্যেই এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানানোর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যে সমস্ত প্লান্ট থেকে অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্ত মানুষেরা যাতে চিকিৎসা অভাবে মারা না যান সেদিকে প্রশাসন লক্ষ্য রাখছে। তাই অক্সিজেনের কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে সেবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের অভাব মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে যে সমস্ত করোনা হাসপাতালগুলি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলোতে দ্রুত রোগী ভরতির কাজও শুরু করা হবে। প্রতিটি মহাকুমা অফিসে একটি করে হেল্পলাইন চালু করা হবে। মহকুমাশাসক, পুলিশ এবং চিকিৎসকরা তা পরিচালনা করবেন। বাজারে প্রবেশ ও বেরোনোর রাস্তায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থাও শুরু করেছে প্রশাসন।