সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বিজেপির বি টিমে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেসের এই অভিযোগ এবার বাস্তবের মাটিতেও ডিভিডেন্ট দিতে শুরু করল। মুসলিম ভোটাররা ধীরে ধীরে মুখ ফেরানো শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দিক থেকে! দিল্লি পুরনিগমের ফলাফলের বিশ্লেষণ করলে তেমনটাই স্পষ্ট হচ্ছে। ভোটের ফল জানান দিচ্ছে, দিল্লির দাঙ্গা অধ্যুষিত সংখালঘু প্রধান এলাকাগুলিতে আপের তুলনায় ভাল ফল করেছে কংগ্রেস (Congress)। বস্তুত উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আপ ধুয়েমুছে সাফ।
২০২০ এবং ২০২১। এই দু’বছরই ধর্মীয় হিংসার ভয়াবহ রূপ দেখেছে দিল্লি। আর তাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলি। ২০২০ সালের দাঙ্গার পরও বিধানসভায় এই এলাকাগুলিতে ভাল ফল করেছিল আপ। কিন্তু তারপর গতবছর ফের ওই এলাকায় দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিলেন। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংখ্যালঘুরা যে কেজরির সেই ভূমিকা একেবারেই ভালভাবে নেননি, সেটা পুরনিগমের ফলাফলেই প্রমাণিত।
[আরও পড়ুন: স্রেফ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ প্রায় ১০ লক্ষ! সংসদে স্বীকার করল মোদি সরকার]
দেখা যাচ্ছে, দিল্লির অন্যান্য প্রান্তে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ভাল ফল করলেও এই এলাকায় এসে কার্যত শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। কংগ্রেস (Congress) দিল্লি পুরনিগমের ২৫০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসন জিতেছে। এর মধ্যে ৭টিই এই দাঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায়। এই সাতটির মধ্যে ছ’টি আবার মুসলিম প্রধান ওয়ার্ড। আম আদমি পার্টির থেকে তিনটি ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিয়েছে হাত শিবির। এই তিনটিই মুসলিম অধ্যুষিত ওয়ার্ড। চৌহাননগর, মুস্তাফাবাদ এবং আবুল ফজল এনক্লেভ, এই তিনটি ওয়ার্ড আপের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: চাপে পড়ে সুমতি! হিন্দির মতোই অন্য আঞ্চলিক ভাষাতেও উচ্চশিক্ষায় জোর কেন্দ্রের]
তবে দাঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় খারাপ ফল করলেও দিল্লির অন্য প্রান্তের মুসলিমরা এবারেও কেজরিওয়ালকেই সমর্থন করছেন। যদিও দিল্লি দাঙ্গা এবং CAA-NRC ইস্যুতে কেজরির গোলমেলে অবস্থান নিয়ে তাদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। তবে আপাতত তারা ভরসা রেখেছেন কেজরির উপরই। আসলে গুজরাটের (Gujarat) ভোটের আগে যেভাবে কেজরিওয়াল টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি লাগানোর দাবি তুলেছিলেন, গুজরাটে বিজেপিকে আটকাতে নরম হিন্দুত্বের প্রচার করেছিলেন, তাতে সার্বিকভাবেই অখুশি মুসলিমরা। গুজরাটেও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি আপ।