সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। ৪৮ ঘণ্টা যমে মানুষে টানাটানির পর মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের ২৬ বছরের যুবকের। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
বুধবার দুপুরে দিল্লির সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন উত্তরপ্রদেশের বাগপতের বছর ছাব্বিশের যুবক জীতেন্দ্র। আচমকা সংসদের সামনে নিজের শরীরে অগ্নিসংযোগ করেন তিনি। সতর্ক সংসদের নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। তাঁকে দ্রুত রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে গায়ে আগুন দেন যুবক, সেখানে থেকে পেট্রল উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুর থেকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন জীতেন্দ্র। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঠিক কেন আত্মহত্যা করলেন জীতেন্দ্র? সঠিক কারণ জানা না গেলেও সংসদের সামনে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। যদিও সেই নোটের অর্ধেক পুড়ে গিয়েছে। বাকি অংশে পুলিশের বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ স্লোগান লেখা আছে। দলিতদের প্রতি বঞ্চনার, অপমানের কথা লেখা আছে। পুলিশ সূত্র বলছে, বাগপতে একটি পারিবারিক বিবাদে জড়িয়েছিল জীতেন্দ্রর পরিবার। অন্য একটি পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের বিবাদের জেরে পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁর পরিবারকে। সেকারণেই অপমানে আত্মঘাতী হন তিনি।