সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ড্রাই’ বিহারে (Bihar) বিষমদে মৃত্যু কেন? বিরোধীদের এই প্রশ্নে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিধানসভায় প্রাক্তন জোট শরিকদের ‘মাতাল’ বলেও তোপ দাগেন। যদিও নীতীশের দিকে আঙুল তোলার মতো পরিস্থিতি অব্যাহত। বিহারে বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭০-এ। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে মৃত্যুমিছিল তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসন। এই অবস্থায় ঘরে ও বাইরে মুখ পুড়ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেন নীতীশ। রাজ্যকে নেশামুক্ত করে তোলাই নাকি ছিল উদ্দেশ্য। যদিও অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে মদের একটি বিরাট ‘কালোবাজার’ তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত সতর্কতা জলাঞ্জলি দিয়ে বিপুল মাত্রায় তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘দেশি’। এহেন অবস্থায় ছপরায় বিষমদ পান করে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭০ জনের। এই ঘটনায় ময়দানে নেমেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ছাপরায় একটি দল পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল ছপরায় যাবে। তারা খতিয়ে দেখবেন অসুস্থদের ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে কি না। এছাড়াও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ করেছে সরকার, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে বিহারে বিষমদের কারবার রুখতে নীতীশ সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে খতিয়ে দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: পিসিকে মেরে ১০ টুকরো করল ভাইপো, শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া জয়পুরে]
নীতীশের কথায়, ”আপনারা জানেন, বাপু (মহাত্মা গান্ধী) মদ নিষিদ্ধ করতে চাইতেন। এবং সারা পৃথিবীতে হওয়া গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, মদ কতটা খারাপ, এর জন্য কত মানুষকে মরতে হয়েছে। বিষমদ খেয়ে অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছে। এটা দেশের সর্বত্রই দেখা গিয়েছে। আমরা তো কড়া পদক্ষেপ করছিই। কিন্তু মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। মনে রাখতে হবে, যেখানে মদ নিষিদ্ধ সেখানে মদ পাওয়া যাচ্ছে মানেই খারাপ কিছুই বিক্রি হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, মৃতদের পরিবারকে কোনও রকম ‘ক্ষতিপূরণ’ দেবেন না তিনি।