সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : বয়সের কোঠা ১০ ছুঁলেই মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করে দেন পরিবারের লোকেরা। খুব বেশি হলে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েকে ঘরে রাখতে রাজি তাঁরা। এমনটাই ছবি উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। ১০-১৯ বছর বয়সের মধ্য এখানকার প্রায় ২০ লক্ষ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। এ রাজ্যে শিশুর জন্মের হারও অনেক বেশি।
সম্প্রতি লখনউ বাল্যবিবাহ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হয়। সেখানে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। ডাক্তার রামমনোহর লোহিয়া ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটির ভিসি গুরদ্বীপ সিং বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকার বহু মানুষ তো এখনও জানেনই না বাল্যবিবাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।” এর জন্য প্রচার প্রয়োজন। শুধু সরকার নয়, এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেও। গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষাকে। উত্তরপ্রদেশের মহিলা সম্মান প্রাকোষ্টের তরফে সুতপা সান্যাল বলেন, “যেখানে শিক্ষার হার ভাল। সেখানে শিশুর জন্মের হার নিয়ন্ত্রিত।“ উত্তরপ্রদেশে এগুলি যে বড় সমস্যা তা স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই।
মেয়েদের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন এএএলআইয়ের আধিকারিক রেনু মিশ্রের কথায়, আইন অনুযায়ী ২০০৬ সাল থেকে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া বেআইনি। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা ২১। এই আইন ভাঙলে ২ বছরের জেলের সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে। কিন্তু এই আইন জানে ক’জন, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। উত্তরপ্রদেশের চাইল্ড রাইটস প্রোটেকশন কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, এ নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্ত তা বাস্তবের মুখ কবে দেখবে তার জবাব মেলেনি।
The post বয়স ১০ ছুঁলেই পাত্র খুঁজতে থাকে পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.