সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজের চেয়ে প্রচারেই বেশি জোর! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প নিয়ে উঠছে এমনই প্রশ্ন। এ অভিযোগ অবশ্য বিরোধীদের নয়। নারীকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বরাদ্দের ৭৮.৯১ শতাংশ নাকি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে।
দেশ এগিয়েছে। তবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মহিলাদের এখনও হেনস্তা হতে হয়। বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন তাঁরা। কন্যাভ্রূণ হত্যাও নতুন নয়। আবার কখনও কখনও স্রেফ কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় মায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনাও ঘটে। তবে এ সমস্ত মোটেও অভিপ্রেত নয়। তাই তো লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ (Beti Bachao Beti Padhao) প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে ফেসবুকে কুমন্তব্যের পরই গুজরাটে গ্রেপ্তার ব্যক্তি]
এই প্রকল্প চালুর পর থেকেই তার জোরদার প্রচার চলছে। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল-সহ বিভিন্ন ধরনের নানা ভাষার গণমাধ্যমেই মোদি সরকারের এই প্রকল্পের বিজ্ঞাপন (Advertisement) দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষের খরচ সম্পর্কিত তথ্য দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় প্রায় সকলের। কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের তুলনায় বিজ্ঞাপনেই খরচ করা হয়েছে অনেক গুণ বেশি টাকা।
বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিটের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে মোট ৪৪৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা আর্থিক বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে ৭৮.৯১ শতাংশই ব্যয় হয়েছে বিজ্ঞাপন খাতে। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রকল্পের বরাদ্দের সিংহভাগ টাকাই যদি বিজ্ঞাপনে ব্যয় হয়। তবে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে কী করে? যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।