সুব্রত বিশ্বাস: বুধবার সকালেই পশ্চিমঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’ (Yaas)। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে কোমর বাঁধছে রাজ্য প্রশাসন। দফায় দফায় চলছে বৈঠক। এর মাঝে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করল রেলও। মে মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ৭৮টি ট্রেন (Long Dostance Trains) বাতিল করল ভারতীয় রেল।
বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। তাই এই দুই রাজ্যের মধ্যে ট্রেন চলাচলে লাগাম পরানো হচ্ছে তিনদিনের জন্য। বাংলা এবং ওড়িশা থেকে অন্যান্য রাজ্যগামী বিভিন্ন ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। বাদ পড়েছে দূরপাল্লার বেশকিছু ট্রেন। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব উপকূলীয় রেল, মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের একাধিক ট্রেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই হাওড়া শাখার ট্রেন।
[আরও পড়ুন: গণপিটুনি বিরোধী আইনকে বুড়ো আঙুল, ডাব চোর সন্দেহে যুবককে বেধড়ক মার]
২৫, ২৬ এবং ২৭ মে বাতিল হওয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন
- ০২৭০৩ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ
- ০২০৮৭ হাওড়া-পুরী
- ০২০৮৮ পুরী-হাওড়া
- ০২৮৩৭ হাওড়া-পুরী
- ০২৮৭৩ হাওড়া-যশবন্তপুর
- ০২৮৭৪ যশবন্তপুর-হাওড়া
- ০২৮২১ হাওড়া-চেন্নাই
- ০২৮২২ চেন্নাই-হাওড়া
উল্লেখ্য, সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে ঝড় নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে রেলকে। শুক্রবার পূর্ব রেলের (Indian Railways) জিএম মনোজ যোশী বিভাগীয় কর্তা ও ডিআরএমদের সঙ্গে এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দেন। তবে রেল হাসপাতালগুলিকে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত রাখতে নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। জলের পাম্প থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ওষুধের জোগান রাখতে বলা হয়েছে। জল জমে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই মুহূর্তে প্রতিটি রেল হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীতে ভরতি। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিটিক্যাল স্টেজে। ফলে চিকিৎসা বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কারশেড বা বড় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বাঁধা থাকবে চেন দিয়ে।