অর্ণব আইচ: একই রাতের মধ্যে শহরের দুজায়গা থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতার পোস্তায় এক যুবকের ট্রলি ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে টাকার বান্ডিল। ছিল ৫৬ লক্ষ টাকা। এদিন রাতেই জোড়াসাঁকোয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মিলল ২৩ লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া মোট টাকার পরিমাণ ৭৯ লক্ষ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের অভিযোগে আমান সিদ্দিকি নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতার পোস্তা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পোস্তার বড়তলা স্ট্রিটে তখন ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়। এর মধ্যেই ট্রলি ব্যাগ নিয়ে এক যুবককে যেতে দেখে পোস্তা থানার পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ওই যুবককে দাঁড় করিয়ে ব্যাগটি খোলেন। এর পরই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। ওই টাকা বহন করার ব্যাপারে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি যুবক। তিনি দাবি করেন, তাঁর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ প্লেসে। এই টাকা তাঁদের ব্যবসার। কিন্তু কোথা থেকে ওই টাকা এসেছে, সেই ব্যাপারেও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। পোস্তা থানায় নিয়ে এসে তাঁকে জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ফেরা হল না বাড়ি, পেটের তাগিয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু মালদহের দুই শ্রমিকের]
সোমবার রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ জোড়াসাঁকোর তারাচাঁদ দত্ত লেনে এক ব্যক্তিকে ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যায়। ব্যাগ থেকে ৪৬০০টি পাঁচশো টাকার নোট উদ্ধার হয়। শৈলেন্দ্র সিং পারমার নামে রাজস্থানের বাসেরির বাসিন্দাটি টাকার ব্যাপারে কোনও নথি বা সদুত্তর না দিতে পারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের মতে, দু’টি ক্ষেত্রেই টাকা হাওলার মাধ্যমে এসেছে। তাই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়কর দপ্তরকে খবর দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে ইডিও খোঁজখবর নিতে পারে। তবে যে হাওয়ালা গদিগুলি থেকে ওই টাকা এসেছে বলে সন্দেহ, সেগুলির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।