সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোলি উদযাপন করতে গিয়ে বিষমদ (Spurious liquor) খেয়ে বিহারে অন্তত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃত ৬ জন নাওয়াদা জেলার বাসিন্দা। তবে এরই পাশাপাশি বেগুসরাইয়েও বিষমদ খেয়ে ২ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালেই বিহারে (Bihar) মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তারপরও কী করে মদ সরবরাহ চালু থাকছে এবং বিষমদের বলি হতে হচ্ছে মানুষকে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কাঠগড়ায় নীতীশ সরকার।
স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য এখনই মানতে রাজি নয়, বিষমদ খেয়েই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তিরা। তাদের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এদিকে বিষমদ খেয়ে চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা চামারি চৌধুরী। তাঁর দাবি, মৃতরা সকলেই বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন। কেবল তিনিই নন, মৃতদের আত্মীয়দেরও একই দাবি। তাঁরা জানিয়েছেন, গত সোমবার হোলির দিন ওই ব্যক্তিরা বিষমদ খান। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। মঙ্গলবার তাঁদের অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। তখন হাসপাতালে ভরতি করা হলে সেখানেই মারা যান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মাংস ‘হালাল’ নাকি ‘ঝটকা’, জানাতে হবে ক্রেতাদের! নয়া নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক]
বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছে আরজেডি।তাদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কী করে বিহারে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এই ভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। আরজেডির তরফে পেশ করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”নাওয়াদায় ৬ জন এবং বেগুসরাইয়ে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি দেশের তুলনায় বিহারে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন বিষমদ খেয়ে। অথচ এখানে মদ নিষিদ্ধ। তাহলে এই নিষেধাজ্ঞায় কী লাভ হল?”
বিহারের মন্ত্রী শ্রাবণ কুমার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।