সুকুমার সরকার, ঢাকা: দু’বছর আগে চট্টগ্রামের ৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Rape) পর শ্বাসরোধে খুন করা হয়েছিল। সোমবার সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আটজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিল আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক জামিল হায়দার এই রায় দেন। তাঁর রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাত আসামি উপস্থিত থাকলেও ছিল না একজন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আটজন হল- মইনুল ইসলাম, মহম্মদ বেলাল হোসেন, রবিউল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম হাসিব, আকমান মিঞাঁ, মহম্মদ সুজন, মহম্মদ মেহরাজ টুটুল, শাহদাত হোসেন সৈকত। এতে মধ্যে শাহদাত হোসেন সৈকত পলাতক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: মহা ধুমধামে নাবালিকা বিয়ের আসর, ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বন্ধ করল বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত]
আদালত সূত্রে জানা খবর, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম (Chittagong) শহরের আকবর শাহ এলাকা থেকে ৯ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ঠিক পরেরদিন ২২ জানুয়ারি রাতে নিহত নাবালিকার মা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। তারপর থেকে দু’বছর ধরে শুনানি চলার পর আদালত আজ ফাঁসির রায় ঘোষণা করল।
কয়েকমাস আগে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরত জাহানকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। এরপরই ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডে সম্মতি দিয়ে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷