সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাবতীয় আশঙ্কা সত্যি হল। ‘টাইটানিক’-এর মতোই সলিল সমাধি হল ‘টাইটান’-এর। মার্কিন নৌসেনা (USA Cost Guard) সূত্রে খবর, জলের তলায় ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবমেরিনটি ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ জনের। ঘটনায় চূডান্ত হতাশ অস্কারজয়ী পরিচালক জেমস ক্যামেরন (James Cameron)।
অস্কারজয়ী ‘টাইটানিক’ সিনেমার পরিচালক ক্যামেরন। শুধু এই-ই তাঁর পরিচয় নয়। বহুবার সমুদ্রের গভীর জলে গিয়েছেন তিনি। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ নিজের চোখে দেখেছেন। সংবাদসংস্থা CNN-এর প্রতিনিধিকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ক্যামেরন বলেন, “রবিবার ঘটনাটি ঘটেছিল। আমি জানতে পেরেছিলাম সোমবার সকালে। সঙ্গে নিজের ডিপসাবমার্জেন্স কমিউনিটির বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আধ ঘণ্টার মধ্যেই কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না, যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না, এসব শুনেই ভাবছিলাম হয়তো বিস্ফোরণই হয়েছে। পরে যা খবর শুনছিলাম তাতে যেন আগেই বুঝেছিলাম আর কিছু বাকি নেই। কাছের লোকজনকে সেকথা বলেও ছিলাম। তবুই চাইছিলাম আমি যেন ভুল প্রমাণিত হই। কিন্তু হল না। তাই অবাক হইনি।”
[আরও পড়ুন: মাথায় পাগড়ি, একমুখ দাড়ি, কাঁধে বন্দুক নিয়ে হল কাঁপাতে এবার পুজোয় ‘বাঘাযতীন’ দেব]
প্রয়োজনীয় সুরক্ষার দিকে নজর না দেওয়ার কারণেই ‘টাইটানিক’ ডুবেছিল। ‘টাইটান’-এর সময় থেকেই আশঙ্কা ছিল অনেকের মনে। ডিপ-সাবমার্জেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং কমিউনিটির পক্ষ থেকে একথা জানিয়ে ওশেনগেট কোম্পানিকে চিঠিও লেখা হয়েছিল বলে জানান অস্কারজয়ী পরিচালক।
ক্যামেরন বলেন, “যে জায়গায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে পারে আমি তা বেশ ভালভাবেই জানা। ক্যালকুলেট করেছি আর আমি বোধহয় ক্যাপ্টেনের থেকেও বেশি সময় ওই জায়গাটায় কাটিয়েছি।” প্রসঙ্গত, ‘টাইটানিক’ ছাড়াও গভীর জলের দুর্ঘটনা নিয়ে ‘দ্য অ্যাবিস’ সিনেমা তৈরি করেছেন ক্যামেরন। গভীর সমুদ্র নিয়েও তাঁর একাধিক তথ্যচিত্র রয়েছে।