বিক্রম রায়, কোচবিহার: লোকসভায় বিজেপি হারতেই কোচবিহার বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ৯ সদস্য। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল নিতে চলেছে তৃণমূল। সদ্য নির্বাচিত সাংসদের থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের উন্নতির স্বার্থে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
লোকসভা ফল প্রকাশের পর নিশীথ গড়ে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। ২.০ মোদি ক্যাবিনেটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক (Nitsith Pramanik) হেরেছেন তৃণমূলের জগদীশ বসুনিয়ার কাছে। তার পরই ভেটাগুড়ির বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালে ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ একাধিক বিজেপি কর্মী দল বদলে এলেন তৃণমূলে। যোগদানের পর 'নব তৃণমূল নেতা' দীপকচন্দ্র বর্মণ বলেন, "আমরা জনতার রায়ে নির্বাচিত। মানুষ যে দিকে থাকবে আমরা সেই দিকেই থাকব। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন, তা আরও একবার প্রমাণিত। ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উন্নতির জন্য আমরা সদ্য নির্বাচিত সাংসদের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলাম।"
[আরও পড়ুন: প্রতিজ্ঞা পূরণ! লকেটের হারে নেড়া হলেন বিজেপি ত্যাগী ২ তৃণমূল নেতা]
সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া বলেন, "যাঁরা আজকে দলে এলেন তাঁরা এক সময় আমাদের দলেরই কর্মী ছিলেন। কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা টিকিট না পাওয়ার ফলে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন।" এর পরেই তিনি নিশীথকে একহাত নিয়ে বলেন, "ভেটাগুড়ি এলাকায় মানুষকে ভয় দেখিয়ে সংগঠন তৈরি করেছিল বিজেপি। এমনকী বিজেপির প্রধান, উপ-প্রধানদেরও নিগ্রহ করেছে দলেরই সদস্যরা। একটা গুন্ডারাজ চালাচ্ছিলেন নিশীথ। সেই অরাজকতা শেষ হয়েছে। ওঁরা খুশি হয়ে আজ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।"
এই যোগদানের ফলে ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতে সমীকরণও প্রায় বদলে গিয়েছে। বিজেপি থেকে ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য় ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর, ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সংখ্যা দাড়াল ১৫ জন। যার ফলে তৃণমূল পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দাবিদার হয়ে উঠেছেন বলে দাবি করে জগদীশ বলেন," কলকাতায় আমার মিটিং আছে। ফিরে এসে বর্তমান প্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব।"