সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স তাঁর ৯০। এই বয়সে নিজের গ্রাম ছেড়ে যেতে চাননি তিনি। কিন্তু ছেলেরা কেউই একটানা তাঁকে কাছে রাখতে চাইছিলেন না। এই অবস্থায় অভিমানে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বৃদ্ধ। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী হল তেলেঙ্গানা।
জানা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানার (Telangana) পোটলাপল্লি গ্রামে থাকতেন মেদাবোইনা ভেঙ্কটাইয়া। তাঁর চার ছেলে কানাকাইয়া, ভুম্মাইয়া, পোচাইয়া ও আরাইয়া এবং এক কন্যা। বৃদ্ধের সব ছেলেই পোটলাপল্লিতে থাকতেন না। দু’জন ওই গ্রামের বাসিন্দা হলেও বাকিরা অন্য গ্রামে থাকতেন। ভেঙ্কটাইয়ার স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন বহুদিন আগেই। নিজের চার একর জমি তিনি ভাগ করে দিয়েছিলেন ছেলেদের মধ্যে। মাসে মাসে বয়স্কদের জন্য প্রাপ্য পেনশন পেতেন বৃদ্ধ। থাকতেন বড় ছেলের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার কথা বলে সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন করছে কংগ্রেস! বিস্ফোরক মোদি]
কিন্তু মাস পাঁচেক আগে বাবার দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে ছেলেদের মধ্যে আলোচনা হয়। গ্রামপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর ঠিক হয়, ছেলেরা এক মাস করে বাবাকে কাছে রাখবে। সেইমতো পোটলাপল্লি ছেড়ে অন্য গ্রামেও থাকার কথা হয় বৃদ্ধের। কিন্তু এই বয়সে তা চাননি তিনি। বারবার কাকুতি মিনতি করেন ছেলেদের কাছে। কান্নাকাটিও করেন। কিন্তু ছেলেরা রাজি হননি।
গত ২ মে বড় ছেলের সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে দূরের গ্রাম নবাবপেটে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন ভেঙ্কটাইয়া। প্রথমে জনপ্রতিনিধির বাড়ি যান তাঁরা। সেখানে রাতে থাকার পর বৃদ্ধ সকালে সকলকে জানান, তিনি অন্য ছেলের বাড়ি যাচ্ছেন। এরপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। পরে একটি আংশিক দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, সেটি ওই বৃদ্ধেরই মৃতদেহ। গ্রাম ছেড়ে না যেতে চেয়ে জীবন ছেড়ে যাওয়াই মনস্থ করলেন ৯০ বছরের ভেঙ্কটাইয়া। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।