নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার পরে প্রথম ভাষণেই প্রশংসা কুড়োলেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান বিতর্কে অংশগ্রহণ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তিনি। বুধবার সংসদ চত্বরে তাঁর ভাষণের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।
সাংসদ হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ভাষণেই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবতম সাংসদ। মঙ্গলবার সংবিধানের ৭৫তম বর্ষপূর্তির বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ঋতব্রত। সেখানেই কবিগুরুকে আঁকড়ে ধরে বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাজনকামী নীতির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্যসভা সাংসদ বলেন, "১৯১১ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি কবিতা পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি এই গানেরই প্রথম স্তবককে জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই গানের আরও চারটি স্তবক আছে। যা আমাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে ভারতের আসল ছবি তুলে ধরে।"
এই কথা বলে একে একে জনগণমন অধিনায়কের বাকি চারটি স্তবক পাঠ করেন ও ইংরেজিতে তার অনুবাদ করেন ঋতব্রত। তৃণমূল সাংসদের এমন ভাষণেই মুগ্ধ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। মঙ্গলবার ভাষণ শেষ হওয়ার পরে বুধবার ঋতব্রতর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংসদ চত্বরে তৃণমূল সাংসদকে দেখে এগিয়ে এসে হাতে হাত মেলান। দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার ঋতব্রতর প্রথম ভাষণের ভূয়সী প্রশংসা করেন কংগ্রেস নেতা। বলেন, "তুমি আমাকে হতাশ করোনি।"
জয়রামের প্রশংসা পেতেই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন ঋতব্রত। অতীতে রাজ্যসভায় তাঁর ভাষণের প্রশংসা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ মণিশংকর আইয়ার। কিন্তু তারপর সিপিএম তাঁকে শোকজ করে। পুরনো দলের সেই গল্প সকলকে শোনান তৃণমূল সাংসদ।