shono
Advertisement

রাতে ঘরে ঢুকে ৯০ বছরের শয্যাশায়ী বৃদ্ধাকে ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক

পলাতর অভিযুক্ত।
Posted: 10:24 AM Aug 01, 2021Updated: 10:26 AM Aug 01, 2021

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: যৌন লালসার শিকার ৯০ বছরের বৃদ্ধাও। নবতিপর শয্যাশায়ী মহিলার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নন্দনপুর বোয়ালমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্ন্যাসী পাড়া এলাকায়। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে কোতোয়ালি থানার দারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধার পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছোট ছেলের সঙ্গে থাকেন বৃদ্ধা। ছেলে জানান, বেশ কয়েক বছর আগেই বাবা মারা গিয়েছেন। তার পর থেকেই অসুস্থ ‘মা’। গত কয়েকমাস যাবৎ শয্যাশায়ী তিনি। নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। পাশের ঘরেই থাকেন ছেলে।

[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের লোকেরা বাংলায় রেশন তুললেও পাবেন বিনামূল্যে, সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর]

নির্যাতিতার ছেলে জানান, “শুক্রবার মাঝরাত। ঘড়িতে তখন প্রায় একটা। মায়ের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি মায়ের ঘরের দরজা খোলা। উঁকি দিয়ে দেখি মশারির নিচে এক যুবক।” তাঁর দাবি, প্রতিবেশী যুবক বিপ্লব সরকারকে ওই অবস্থায় টেনে হিচড়ে বিছানা থেকে নামান তিনি। মারধর করতেই সে পালিয়ে যায়। সকালে ঘটনার কথা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে জানানো হয়। ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ রায় জানান, অভিযোগ শুনেই অভিযুক্ত যুবককে সালিশি সভায় ডেকে আনা হয়। সালিশি সভায় রাতে বৃদ্ধার ঘরে ঢোকার কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত যুবক। তবে শারীরিক সম্পর্কের কথা মানতে নারাজ ছিল সে। উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে ফের তাকে মারধর করে।

সালিশি সভা মিটে যাওয়ার পর শনিবার দুপুরে নির্যাতিতার ছেলের সন্দেহ গাঢ় হয়। নির্যাতিতার ছেলে জানান, দুপুরে মায়ের বিছানার চাদর পরিষ্কার করতে গিয়ে সন্দেহজনক কিছু দাগ চোখে পড়ে। বলেন, “এই দাগ দেখে আমরা একপ্রকার নিশ্চিত যে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।” এরপরই পুলিশের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের লোকেরা বাংলায় রেশন তুললেও পাবেন বিনামূল্যে, সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর]

শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। এদিকে থানা পুলিশ হতেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত যুবক বিপ্লব সরকার। ঘটনা প্রসঙ্গে বৃদ্ধার ভাই জানান, “আমরা চাই ঘটনার বিচার হোক। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটাতে না পারে।” অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশের ডিএসপি (সদর) সমীর পাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার