বিক্রম রায়, কোচবিহার: প্রেমের টান এপার ওপার বোঝে না। কাঁটাতারের বন্ধন মানে না। তা সে সিনেমার পর্দা হোক কিংবা কঠিন বাস্তব। বাংলাদেশের এক তরুণীই আরও একবার তার প্রমাণ দিলেন। প্রেমের টানে কোনও প্রমাণপত্র ছাড়াই ভারতে অনুপ্রেবেশের দায়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) বিএসএফের হাতে পাকড়াও ওই তরুণী।
বাংলাদেশের (Bangladesh) বগুড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী। তিনি জানান, মাসছয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। কিছুটা সম্পর্ক এগনোর পরই তরুণী জানতে পারেন ওই যুবক কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে। ধীরে ধীরে তা প্রেমের রূপ পায়। ইতিমধ্যে বাড়িতে অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়ে যায় তরুণীর। তা মানতে পারেননি। তাই প্রেমিকের খোঁজে ভারতে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: ‘ব্লাউজ পরে আসুন’, অন্তর্বাস পরে আসায় বিমানে উঠতে পারলেন না প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স]
পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। শনিবার নাজিরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘলটারি সীমান্তে বিএসএফের (BSF) ১২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তাঁকে আটক করেন। এরপর সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তরুণীকে। বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় তাঁর। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। জামিন খারিজ হয়ে যায়। আপাতত ১৪ দিন শ্রীঘরেই থাকতে হবে ওই তরুণীকে। তরুণীর প্রেমিকের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তরুণী আদৌ সত্যি কথা বলছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তরুণের খোঁজ শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসার পর যশ চোপড়ার ‘বীরজারা’ সিনেমার কথা মনে পড়ছে প্রায় সকলের। কারণ, সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, হিন্দু শিখ ভারতীয় ছেলে বীর ভালবেসেছিল পাকিস্তানের জারাকে৷ কিন্তু শত্রু দেশের মেয়েকে ভালবেসে প্রায় পুরো জীবনটাই পাকিস্তানের জেলে কেটে গিয়েছিল বীরের৷ শেষমেশ বীর-জারার যখন মিল হল তখন দু’জনের জীবনেরই বেশিরভাগ বসন্ত কেটে গিয়েছে৷ বাংলাদেশি তরুণীর কপালে কী রয়েছে, সেদিকেই নজর সকলের।