সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি কষ্টে বাঁচা, খোঁজ নেই আয়ের, তেমন এক গরিব দিনমজুরকে ১৪ কোটি টাকা মেটাতে বলল আয়কর দপ্তর (Income Tax Department)। এই ঘটনায় জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয় বিহারের (Bihar) বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর যুবকের। দিনমজুরের পরিবারের বক্তব্য, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। তাঁদের সব সম্পত্তি বেচলেও ১৪ কোটি টাকা হবে না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দিনমজুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রভাবশালী কেউ লেনদেন চালিয়েছে?
ঘটনাটি বিহারের রোহতাস জেলার কারগাহার। এই গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর মনোজ যাদব। শনিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় আয়কর দপ্তরের একটি দল। তাঁরা সটান মনোজের হাতে একটি নোটিস ধরান। সেই নোটিসে জানানো হয়, অবিলম্বে ১৪ কোটি টাকা আয়কর মেটাতে হবে তাঁকে। এরপর জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা মনোজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ১৪ কোটি থাকা শোধ করা তো দূর, তাঁরা এত টাকার কথা ভাবতেও পারেন না। মনোজ জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কীভাবে এত টাকার লেনদেন হল তা তিনি জানেন না। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক সংস্থায় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে ২০২০ সাল থেকে কোভিড ও লকডাউনের নিজের এলাকাতেই রয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, এই মানুষটার এত টাকা আয়কর কীভাবে হয়?
[আরও পড়ুন: আইনের জাল থেকে রেহাই পেতে শাহর দ্বারস্থ শুভেন্দু, মামলার বহর দেখে বিস্মিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
উত্তরে আয়কর আধিকারিকরা জানান, দিনমজুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই আয়করের হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি টাকায়। কী করে সম্ভব হল এমনটা? এখানেই প্রতারণার প্রশ্ন উঠছে। যেহেতু দিনমজুর জানান, লকডাউনের পর বিহারে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেন। সেই সময় তাঁর আধার ও প্যান কার্ড চাওয়া হয়েছিল। মনোজ অভিযোগ করেছেন, তাঁর আধার এবং প্যানের অপব্যবহার করে তাঁর নামে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার ফলে এই আয়কর।
[আরও পড়ুন: কীসের ভিত্তিতে বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি? তথ্য দিতে নারাজ গুজরাট সরকার]
উল্লেখ্য, আয়কর আধিকারিকরাও মনোজের অবস্থা দেখা স্তম্ভিত হন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন মনোজ।