সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহে দক্ষিণ ভারতে একাধিক অনার কিলিংয়ের (Honour Killing) ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনা বিহারের (Bihar)। সেখানে জামাইকে গুলি খুন করল শ্বশুর। জামাইবাবুকে খুন করতে বাবাকে সাহায্য করল ছেলে। খুনের ভয়ংকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করে প্রধান অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে অভিযুক্তের মেয়ে ভালবেসে বিয়ে করে ভিন্ন জাতের যুবক মনু রাইকে। মনু স্থানীয় কাউন্সিলর সনু রাইয়ের ভাই। মেয়ের মুনকে বিয়ে করা মোটেই পছন্দ ছিল না বাবা সুনীল পাঠকের। তক্কে তক্কে ছিল সে। এদিন সেলুনে যখন দাড়ি কাটাচ্ছিলেন মনু সেই সময়ই পিছন থেকে হামলা চালায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান সুনীল। গুলি করে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মনুকে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের স্বার্থে পালটানো যেতেই পারে নিয়ম’, CDS নিয়োগ নিয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব কেন্দ্রের]
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেলুনে বসে দাড়ি কাটাচ্ছেন মনু। আচমকা পেছন থেকে মাথায় গুলি চালায় অভিযুক্ত সুনীল পাঠক। দৌড়ে পালান সেলুনের কর্মী। এরপর সুনীল ও তার ছেলে গুরুতর আহত মনুকে পাশের ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে সেলুনের ছুড়ি দিয়ে হামলা চালায়। মনুকে লাথি-ঘুষিও মারতেও দেখা যায়। মৃত্যু হয় মনুর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেম করে বিয়ে করার জন্যই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দু’জন অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিকেও উদ্ধার করা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ সৎ বাবার, ডিম্বাণু বিক্রিতে বাধ্য করে কাঠগড়ায় মা]
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে তেলেঙ্গানার (Telangana) আদিলাবাদের একটি অনার কিলিংয়ের ঘটনা সামনে আসে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এক হিন্দু তরুণী ও এক মুসলিম তরুণ। এরপরেই তরুণীর উপর ক্ষিপ্ত হয় তাঁর পরিবার। গ্রামে এই নিয়ে পঞ্চায়েতও বসে। উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, তরুণী স্বামীর সঙ্গে থাকবেন না, বাপের বাড়ি ফিরে যাবেন। রাজেশ্বরীর অমতেই তাঁকে বাপের বাড়িতে ফিরিযে আনা হয। পরে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাপের বাড়ি থেকে। ঘটনায় তরুণীর বাবা-সহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে তেলাঙ্গানা পুলিশ।