রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর। শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের মধ্যে চলছে অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের পালা। রাজনৈতিক কারণ নাকি গ্রাম্য বিবাদের জেরে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে।
নিহত চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভু ভগবানপুর পূর্ব মণ্ডলের শক্তিকেন্দ্রর প্রমুখ ছিলেন। ভগবানপুরের ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বছর আটত্রিশের ওই বিজেপি কর্মী শনিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন। আচমকাই তাঁর ফোন বেজে ওঠে। কথা বলেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কেউ তাঁকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। সেকথা শুনেই বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় জোড়া অগ্নিকাণ্ড, ট্যাংরায় ভস্মীভূত প্লাস্টিকের গুদাম, শোভাবাজারে পুড়ল টালির বাড়ি]
সারারাত আর বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন পরিজনেরা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। রবিবার ভোরে বাড়ির অদূরেই ওই বিজেপি নেতার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তবে ততক্ষণে ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান চিকিৎসকেরা।
বিজেপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে চন্দনকে। পরিজনদের দাবি, প্রথমে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মারধরও করা হয় তাঁকে। এরপর রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি নেতার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই লেগেছে রাজনীতির রং। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে ঘাসফুল শিবিরের যোগসাজশ রয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রাম্য বিবাদ থেকে খুন হয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। ভগবানপুর থানার পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।