বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আমবাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি বুথ সভাপতির দেহ। নদিয়ার হাঁসখালি থানার পেপুলবেড়িয়ার ফতেপুর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
মৃত ব্যক্তির নাম নকুল হালদার (৫৫)। অভিযোগ, নদিয়ার হাঁসখালি থানার পেপুলবেড়িয়ার ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা নকুল হালদার মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বুধবার সন্ধেয় পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একটি আমবাগানে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। নকুল হালদারের পরিবারকে খবর দেয় ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি খবর যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে নকুলের ঝুলন্ত দেহ নামায়। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
[আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
মৃত নকুল হালদার এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি। বর্তমানে হাঁসখালি ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৮ বুথ সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এলাকায় একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। এছাড়াও নকুল হালদারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই খবর পেয়ে বিজেপির বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যান। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে।
নকুল হালদারের পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায় বলেন, মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে নকুলবাবুর। এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন বেতনা গোবিন্দপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যেকোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।”