শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাইক করে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। পথে হঠাৎ তাঁকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার সন্ধের শুটআউটকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের মাদারিপুর এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে জোর চাঞ্চল্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ ওই জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। গুরুতর জখমকে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুরনো অংশীদার ব্যবসার জেরেই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম ভবেশ দেবনাথ। চা পাতার ব্যবসায়ী। ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাদারিপুর পৌঁছতেই ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়৷ গলায় গুলি লাগে তাঁর। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী৷ তবে প্রথমে গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে ভেবেছিলেন স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে বিপজ্জনক বিল আসছে, রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে’, দিল্লিতে আশঙ্কা মমতার]
কিন্তু রাস্তায় চিৎকার করে স্ত্রী রিঙ্কি দেবনাথ বলতে থাকেন, “স্বামীর গলায় গুলি করেছে, আমার স্বামীকে বাঁচান।” আর্তনাদ শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে সন্ধের পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ইসলামপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। গুলি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে অভিযোগ দায়ের হয়নি।”
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অভিযোগ, “ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে স্বামীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করেছে পুরনো অংশীদার। আগেও একবার হামলা করা হয়েছিল।” স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবেশ দেবনাথ ও রিপন দাস দীর্ঘদিন ধরেই চা পাতার ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর আগে ব্যবসা আলাদা হয়ে যায়। তারপর থেকে শত্রুতা শুরু। আর সেই শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলেই দাবি।