দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ি চালককে অপহরণ ও খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় ডানকুনি। অভিযুক্তদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডানকুনির খালে ডুবুরি নামিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, টাকা পয়সা সংক্রান্ত কারণেই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম শামিম হোসেন। বয়স ২১ বছর। বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারের বাসিন্দা ওই যুবক। দুই দাদার সঙ্গে ব্যবসা করতেন ওই যুবক। কলকাতা থেকে বিস্কুটের প্যাকেট বীরভূমে নিয়ে যেতেন তাঁরা। সেখানে পাইকারি দরে তা দোকানে বিক্রি করতেন। অন্যান্য দিনের মতোই ৪ তারিখ শামিম ও তার গাড়ি চালক বরুণ মুর্মু ইলামবাজারের বাড়ি থেকে রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে। কিছুক্ষণ পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় তাদের ফোন। এরপর সারারাতেও শামিম ও বরুণ বাড়ি ফেরেনি। পরে জামালপুর থেকে উদ্ধার হয় তাদের গাড়ি। ৫ তারিখ জামালপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করে শামিমের পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নামে পুলিশ। কিছু তথ্য পাওয়ার পর ডানকুনি (Dankuni) থানায় যোগাযোগ করে জামালপুর থানার তরফে। এরপরই শেখ আখতার, কালো ও বাবু নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: Landslide: লাগাতার বৃষ্টিতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস, বাংলা-সিকিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন]
পুলিশের দাবি, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে শামিম ও বরুণকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর তাঁদের ফেলে দেওয়া হয় ডানকুনির খালে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেসিবি দিয়ে, ডুবুরি নামিয়ে মৃতদেহের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেহদুটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু কীভাবে শামিমের গাড়ি গেল জামালপুরে? পুলিশের অনুমান, পুলিশের নজর ঘোরাতেই গাড়ি রেখে আসা হয়েছিল জামালপুরে। মনে করা হচ্ছে, শামিমের সঙ্গে থাকা টাকার জন্যই এই খুন।