সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: চিটফান্ড মামলায় এবার গ্রেপ্তার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার টানা দশ ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংকে। অবশেষে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৩।
গত পুরভোটে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ পান রাজু সাহানি। তার আগে থেকেই চিটফান্ড মামলায় সিবিআই তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছিল। বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে ওই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয় ২০১৪ সালে। কুলটি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। কোটি কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চার্জশিটও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছর ১২ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তারও হন। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সেই মামলাতেই কিছুদিন আগে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন রাজু। নজরে ছিল রাজুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং।
[আরও পড়ুন: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিট নাম শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়দের, নেই পার্থ]
আগে একাধিকবার ওই ব্যবসায়ীকে তলব করে সিবিআই। মঙ্গলবারও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন সঞ্জয় সিংহ। টানা দশ ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধবার সকালে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে সঞ্জয় সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাওড়া থেকে ট্রেনে আসানসোল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃত ব্যবসায়ীকে। আজই তোলা হবে আদালতে।
প্রসঙ্গত, এর আগে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সঞ্জয় সিংকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে এনডিএ-এর প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার ‘আবেদন’ করেছিলেন তিনি। বিধায়ককে আর্থিক প্রলোভন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।