নন্দন দত্ত, বীরভূম: পেটের দায়ে সকাল হতেই মাছ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাতে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনওরকমে চলে সংসার। তবে সময় যে কারও সমান যায় না, তা ফের প্রমাণিত। রাতারাতি বোলপুরের মাছ বিক্রেতা হয়ে গেলেন কোটিপতি। ভাগ্য বদলে দিল লটারির টিকিট।
ব্যাপারটা কী? বোলপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবন দাস। বহু বছর ধরে শান্তিনিকেতন এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে মাছ বিক্রি করেন তিনি। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার। ছেলেদের মধ্যে একজন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। অন্যজন ট্রেনে হকারি করেন। তিনজন মিলে কষ্টেই সংসার চালান। তারই মাঝে প্রায়ই লটারির টিকিট কিনতেন জীবন। স্বপ্ন দেখতেন ভাগ্য ফেরার। কিন্তু কোনওদিনই কোটিপতি হওয়ার কথা ভাবেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: বন্ডেল গেটে রাস্তার পর রেল অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ, শিশুকন্যা খুনে ফুঁসছে তিলজলা]
অন্যান্য দিনের মতোই গত শনিবারও লটারির টিকিট কিনেছিলেন জীবন। কোটিটাকা জেতার কথা জানার পরই আনন্দিত হওয়ার বদলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। পথচারীরা তাঁকে সাময়িক সুস্থ করে তোলেন। সম্বিত ফিরতেই সোজা থানায় হাজির হন জীবন। সেখানে গোটা বিষয়টা জানান। কিন্তু এত টাকা দিয়ে কী করবেন তিনি? জীবন জানিয়েছেন, মাছের ব্যবসা চলবে। যে পেশার জন্য এতদিন সংসার চলেছে, সেখান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন না তিনি।