মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বছরখানেক আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়েছিলেন স্ত্রী! তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর খোঁজ পাননি প্রাক্তন স্বামী। অবশেষে এসআইআর মিলিয়ে দিল তাঁদের! তবে এ দেখা মধুরেণ সমাপয়েত হয়নি! উল্টে সে দেখা একেবারে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াল। প্রাক্তন স্ত্রীকে দেখা মাত্রই বেধড়ক মার প্রাক্তন স্বামীর। এমনকী তাঁর সঙ্গে থাকা যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কোনও রকমে তাঁদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশকর্মীরা। শুধু তাই নয়, বের করে দেয় শুনানি কেন্দ্র থেকেও। কেন্দ্র থেকে বেরিয়েও ফের এক দফায় মারামারি! শেষমেষ পুলিশ ওই যুবতীর প্রাক্তন স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেখানে শুনানি ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসছে, সেখানে একেবারে নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকে শুনানিতে আসা লোকজন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার, বিডিও অফিসে ছিল এই ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথের শুনানি। চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকেদের শুনানি ছিল। সেখানেই প্রাক্তন স্বামী স্ত্রীর দেখা হয়ে যায়! তারপরেই বাধে লঙ্কাকাণ্ড। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগ তাঁর স্ত্রী বছরখানেক আগে অন্য এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খুঁজে পাননি। তারপরে নিজেরা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন শুরু করে। ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামীর শুনানি ছিল বিডিও অফিসে। ফলে তিনি আগেই চলে এসেছিলেন। তিনি লাইনে ছিলেন। হঠাৎই দেখতে পান তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, সঙ্গে এক যুবক এবং আরেকজন ব্যক্তি শুনানিতে আসছেন। আর তা দেখেই একেবারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং আচমকা এসে প্রাক্তন স্ত্রীকে বেধড়ক মারতে থাকেন। সঙ্গী যুবক বাধা দিতে এলে তিনি ওই যুবককেও ধরে মারধর করতে থাকেন বলে দাবি স্থানীয়দের। যা নিয়ে দু'জনের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। শুনানির লাইনে হুলস্থুল কান্ড বেঁধে যায়।
ঘটনাস্থলে ছিল উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ তাদের ছাড়িয়ে দেয়। দুজনকেই শুনানিকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপরেও গোলমাল থামেনি। সেখানেও ওই ব্যক্তি তার প্রাক্তন স্ত্রী এবং যুবককে মারধর করতে থাকে। শেষে পুলিশ ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এই অবস্থায় তাঁরা দু'জনেই কেউ আর শুনানিতে অংশ নেননি। পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু কেউ অভিযোগ করেনি। তাই ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
