সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর শুনানিতে (SIR Hearing in West Bengal) বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও দিব্যাঙ্গদের ডাকা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে একাধিকবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে এই ইস্যুতেই ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, "৬০-৭০ বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ডাকছে। পুরুলিয়ায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ওরা বাবা-মাকে সম্মান করে না।" এদিন আবারও স্পষ্টভাবে মমতা জানিয়ে দিলেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করা হবে।
রাজ্যে এসআইআরের শুনানি (SIR Hearing in West Bengal) পর্ব চলছে। বহু মানুষ হিয়ারিংয়ের নোটিস পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নরাও। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। সবমিলিয়ে হেনস্তা হতে হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে সিইও দপ্তরে দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে এই ইস্যুতেই কমিশনকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, "এসআইআর পর্বে ৫৮ থেকে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পুরুলিয়ায় একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এসআইআর-এর কারণে এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ওরা বয়স্ক মানুষদের সম্মান করতে জানে না। ওরা বাবা-মায়েদের সম্মান করে না।"
প্রসঙ্গত, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই তালিকায় সোমবার যুক্ত হয়েছে দুর্জন মাঝির নাম। জানা গিয়েছে, এসআইআর শুনানিতে সময়মতো পৌঁছতে পারবেন তো এই চিন্তায় ছিলেন দুর্জন। শুনানির চিঠি পাওয়ার পর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল পুরুলিয়ার ৮২ বছরের বৃদ্ধকে। সোমবার, শুনানির দিনে ব্লক অফিসে যাওয়ার আগে টোটো খুঁজতে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। ঘণ্টা তিনেক পর বাড়ির অদূরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। মঙ্গলবার, এই ঘটনায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত দুর্জন মাঝির পরিবার।
