অর্ণব আইচ: আইন রক্ষা করাই তার কাজ। প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপত্তা দেওয়াই কর্তব্য। তবে রক্ষকই যেন ভক্ষক। রাতের কলকাতায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাম জড়াল খোদ সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) এবং কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক গাড়িচালকের। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজাকুমার দাস নামে বছর চব্বিশের এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজাকুমার পণ্যবাহী গাড়ির চালক। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে পণ্যবাহী গাড়িটি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লাল রংয়ের একটি গাড়ি চড়ে দু’জন আসে। তাঁর সামনে গাড়ি থামান। অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি থেকে নেমে মারধর করতে থাকে তারা। রাজাকুমারের দাবি, তাঁর গলায় থাকা রুপোর হার, টাকার ব্যাগ, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স লুট করে। এরপর গাড়িতে চড়েই এলাকা ছাড়ে দু’জনে।
[আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান থেকে এবার আপনিও কিনতে পারবেন করোনার জোড়া ভ্যাকসিন! মিলল প্রাথমিক ছাড়পত্র]
সর্বস্ব খুইয়ে বড়বাজার থানার দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই গোটা ঘটনাটি পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয়। এই ঘটনায় শেখ জামির মণ্ডল ও শেখ আকবর নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শেখ জামির মণ্ডল হুগলির বাসিন্দা। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালক। অপর অভিযুক্ত শেখ কলকাতার এন্টালি এলাকার বাসিন্দা। সে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। উল্লেখ্য, মালদহেও পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহস্থ বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সাসপেন্ডও হয়েছে অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আইনের রক্ষাকারীরই এ ধরনের আচরণে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত প্রায় সকলেই।