অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: মঙ্গলবারের পরীক্ষায় পিচবোর্ড নিয়ে ঢুকে টুকলির দাবিতে দেদার ভাঙচুর করেছে পরীক্ষার্থীরা। সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে বুধবার পিচবোর্ড নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। তাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের রানিনগরের শেখপাড়ার জিডি কলেজ এলাকা। কলেজের ব্যাপক ইটবৃষ্টি ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের। ঘটনার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় রাস্তা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। কলেজের এক অধ্যাপক মহম্মদ কাতেমন জানান, মঙ্গলবার সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শেষের দিকে হঠাৎ পরীক্ষার্থীরা সঙ্গে থাকা পিচবোর্ড দিয়ে কলেজের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। বাদ দেয়নি চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ। তাঁদের দাবি ছিল বই খুলে লিখতে দিতে হবে। কোনওরকম গার্ড দেওয়া চলবে না। এই নিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, পরীক্ষা হলে আর পিচবোর্ড নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেটা বোর্ডের নিয়মের মধ্যেও পড়ে। বুধবার তাতেই ক্ষেপে যায় পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: চোখে চোখে কথা বলো…! ভারচুয়াল শুনানিতে প্রকাশ্যেই ‘প্রেমালাপ’ পার্থ-অর্পিতার]
পরীক্ষা কেন্দ্রে পিচবোর্ড নিয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। পড়ুয়া সাজবুল শেখ, তোফায়েল ইসলামরা জানান, “লকডাউনের পর সেভাবে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়নি। সেই পরিস্থিতিতে আমরা পরীক্ষা দিতে এসেছি। কিন্তু এখানকার সেন্টারের শিক্ষকেরা পরীক্ষা হলে ঘাড় ঘোরাতে দিচ্ছেন না। এমনভাবে পাহাড়া দিচ্ছেন, জানা উত্তর ভুল হয়ে যাচ্ছে।” এক ছাত্রের দাবি, গতকাল নাকি কথা বলতে যাওয়ায় তাঁকে মারধর করেছেন শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, এদিনের বিক্ষোভের জেরে অনেক পরীক্ষার্থীই পরীক্ষা দিতে বসেনি। কলেজ সূত্রে খবর, এদিন ২২৯ জনের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। সেখানে মাত্র ৭৯ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের হটকারী সিদ্ধান্তের জেরে তাঁদের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।