সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্পে বদলের প্রয়োজন। এমনটাই সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল তিন প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটি। শীঘ্রই এ বিষয় রায় দেবে শীর্ষ আদালত।
মণিপুর নিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে তিনটি রিপোর্ট জমা দিল তিন প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে রিপোর্টগুলি পেশ করা হয়। এই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, “মণিপুরের হিংসায় পীড়িতদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য যে আর্থিক সহায়তা ধার্য করা হয়েছে, তার পরিমাণ বাড়ানোর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, অনেকেরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাদের পুনরায় সেই সমস্ত নথি বানিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে।” সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: পুর-দুর্নীতির তদন্ত চালাবে ইডি-সিবিআই, হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল শীর্ষ আদালতে]
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অশান্ত মণিপুরে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে থাকবেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল, বম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শালিনী ফানসালকর জোশী। থাকবেন দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশা মেনন। কমিটির নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তালকে। নতুন এই কমিটি গঠনের ১৪ দিনের মাথায় হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল শীর্ষ আদালতে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।