shono
Advertisement

মিড ডে মিলের রান্না করা খিচুড়িতে মরা টিকটিকি! শোরগোল পাঁশকুড়ার আইসিডিএস সেন্টারে

৯১ জনের মধ্যে সেই খিচুড়ি বিলিও করা হয়েছিল।
Posted: 07:13 PM Jan 13, 2023Updated: 08:28 PM Jan 13, 2023

সৈকত মাইতি, তমলুক: আইসিডিএস কেন্দ্রের (ICDS Centre) শিশুদের জন্য রান্না করা খিচুড়িতে মরা টিকটিকি! তা না দেখে বিলিও করে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইসোরা এলাকার এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও সেই খিচুড়ি খেয়ে কারও অসুস্থ হওয়ার খবর না মিললেও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় মেডিক্যাল টিম। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া (Paskura) ব্লকের মাইসরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামপুর আইসিডিএস কেন্দ্র। এলাকার গর্ভবতী মহিলা-সহ যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯১ জন খুদে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রান্না করা হয়। প্রতিদিনের মতো এদিনও এই আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্নাঘরে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। আচমকাই চোখে পড়ে খিচুড়ির একটি বালতিতে পড়ে আছে মরা টিকটিকি! মনে করা হচ্ছে, রান্নার সময়েই তাতে পড়ে গিয়েছিল টিকটিকি, খিচুড়ির সঙ্গে সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে।

এই কেন্দ্রেই মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলেছে টিকটিকি।

মিড ডে মিলে টিকটিকির (Lizard) এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই আইসিডিএস কেন্দ্রের জন্য রান্না করার স্থানে আলো জ্বালানোর জন্য কোনও রকমের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নেই। এর ফলেই আলো-আঁধারি অন্ধকারের মধ্যে রান্না করার সময় কোনও কিছু অঘটন ঘটে থাকলে তা জানা সম্ভব নয়। সে কারণেই এর আগেও এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। স্বাভাবিক কারণেই প্রশাসনের এই চরম গাফিলতি ও অব্যবস্থার অভিযোগে ক্ষোভ ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। তীব্র আতঙ্কে পরিবেশ এলাকায়। কারও অসুস্থতার খবর না মিললেও জনতাকে আশ্বস্ত করতে এলাকায় রয়েছে মেডিক্যাল টিম।

[আরও পড়ুন: ৩০ জনের বুথ কমিটি, স্মৃতি ইরানির নির্দেশ পেয়ে বিপাকে হুগলির বিজেপি নেতৃত্ব]

আইসিডিএস কেন্দ্রের রাঁধুনি রোশেনারা বিবি বলেন, ”আমরা নিজেরাও এই খাবারটাই খাই। তাই অত্যন্ত যত্ন সহকারে রান্না করা হলেও কীভাবে এদিন এই রান্না করা খাবারে টিকটিকি পড়ে গেল, বুঝতে পারছি না। বিষয়টি আগে নজরে আসলে এই খাবার কখনওই আমরা বিতরণ করতাম না।” আইসিডিএস কেন্দ্রের ইনচার্জ শ্যামলী বাসকি জানিয়েছেন, ”আমাকে অনেকগুলি সেন্টার দেখাশোনা করতে হয়। এমন অবস্থায় এই কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাবিতে আমরা একাধিকবার রেজুলেশন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ মেলেনি। তাই অগত্যা কিছুটা অন্ধকারের মধ্যেই পড়ুয়াদের জন্য রান্না করতে গিয়েই এমন বিপত্তি ঘটছে।”

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে প্রতি বুথে প্রার্থী দেওয়াই টার্গেট, গ্রাউন্ড রিপোর্ট চাইল কংগ্রেস]

স্থানীয় বাসিন্দা আসিনা বিবির কথায়, ”সকাল প্রায় সাড়ে আটটা থেকে এই রান্না করা খাবার বিলিবন্টন করা হয়েছে আইসিডিএস কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। তাই এখনও পর্যন্ত কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়লেও এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার