সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পে নিয়োগের প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশে। এরই মধ্যে রবিবার সেনার তিন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh)। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেনার তরফ থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হল এই নতুন নিয়োগের লক্ষ্যই হল যত বেশি সম্ভব ভারতীয়কে সেনায় নিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া। এই প্রকল্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হল একগুচ্ছ সুবিধার কথাও। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, এই সবই পূর্বপরিকল্পিত। বিক্ষোভের ফলে রাতারাতি এমন ঘোষণা করা হচ্ছে, বিষয়টা তা নয়। সেই সঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী জানাচ্ছেন, ”সেনার চাকরি একটা আবেগ, বেতন দিয়ে একে মূল্যায়ন করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছ ভারত অভিযানে মোদি, টানেল পরিদর্শনে গিয়ে নিজের হাতে ফেললেন আবর্জনা, ভাইরাল ভিডিও]
আর কীকী জানানো হল এদিন? জেনে নিন।
- প্রথম দফায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫ হাজার অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হবে। পরবর্তী নিয়োগ হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেই সময় ৪০ হাজার অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হবে।
- এদিকে অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ২১ নভেম্বর থেকে নৌসেনায় প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও নিয়োগ করা হবে অগ্নিবীর হিসেবে।
- আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে সেনা জওয়ানদের বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় পৌঁছবে। পরে তা বেড়ে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্তও পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি অন্য জওয়ানরা যে পরিমাণ ভাতা পান, তাও পাবেন তাঁরা। কোনও অগ্নিবীর শহিদ হলে তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকার অর্থসাহায্য করা হবে।
- দেশভর চলতে থাকা বিক্ষোভ সম্পর্কে সেনার মন্তব্য, ”ভারতীয় সেনার ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। এখানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনার কোনও স্থান নেই। তাই আবেদনকারীদের একটি সার্টিফিকেট পেশ করে জানাতে হবে, তাঁরা এই ধরনের কোনও প্রতিবাদের অংশ ছিলেন না।” সেই সঙ্গে সেনায় যোগ দিতে হলে তার আগে পুলিশি যাচাইও অপরিহার্য।