সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) দাবি করেছিল, এখন যেখানে অবস্থিত কুতুব মিনার (Qutub Minar), একসময় সেখানে ছিল ২৭টি হিন্দু মন্দির। সেই মন্দিরগুলি আবার নতুন করে নির্মাণ করতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেখানে পূজা-প্রার্থনার সুযোগ দিতে হবে। এবার কুতুব মিনার চত্বরের গণেশ মূর্তি সরানো নিয়ে দানা বাঁধল বিতর্ক। ন্যাশনাল মনুমেন্ট অথরিটি (National Monuments Authority) ওই মূর্তিগুলিকে সরাতে বলে প্রত্নতাত্বিক জরিপ বিভাগকে (Archaeological Survey of India)। যদিও এএসআই (ASI) ওই মূর্তি সরাচ্ছে না বলেই জানাল দিল্লির একটি আদালত।
উল্লেখ্য, দিল্লির ওই আদালতে মামলা করেন হরিশংকর জৈন নামের এক ব্যক্তি। মামলার আবেদনে বলা হয়, এএসআই কুতুব মিনার চত্বর থেকে গণেশ মূর্তি সরানোর পরিকল্পনা করেছে। ন্যাশানাল মনুমেন্ট অথরিটির আবেদনের ভিত্তিতে এই কাজ হতে চলেছে। মূর্তিটিকে জাতীয় জাদুঘরে স্থাপন করা হতে পারে। ওই আবেদনে আরও বলা হয়, কোটি কোটি হিন্দু গণেশ দেবের পুজো করেন। অথচ সেই মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুঃখজনক পরিস্থিতি। মূর্তিগুলিকে যাতে শ্রদ্ধার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তা দেখার দায়িত্ব এএসআইয়ের। তা ঠিক মতো হচ্ছে না। তাছাড়া প্রত্নতাত্বিক জরিপ বিভাগে কোনওভাবে ইচ্ছেমতো মূর্তি সরাতে পারে না।
[আরও পড়ুন: আজান বিতর্কের জের, অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় স্থানে বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার, নির্দেশিকা মহারাষ্ট্রের]
এদিন এই আবেদনের স্বপক্ষেই রায় দিয়েছে দিল্লির আদালত (Delhi Court)। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কুতুব মিনার চত্বর থেকে কোনও দেবদেবীর মূর্তি সরানো যাবে না। যা যেখানে যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। এএসআইয়ের মূর্তি সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: আগামী ১০ দিনে অসমেও মমতা ম্যাজিক! ‘বড় খেলা’র ইঙ্গিত সুস্মিতা দেবের]
প্রসঙ্গত, এএসআই চেয়ারম্যানও জানিয়েছেন, “অন্য কোথাও মূর্তি স্থাপন অশ্রদ্ধার কাজ।” তেমন পরিকল্পনা নেই তাদের। উল্লেখ্য, কুতুব মিনার চত্বরের দু’টি মূর্তিকে বলা হয় ‘উলটা গণেশ’ (Ulta Ganesh) এবং ‘খাঁচাবদ্ধ গণেশ’ (Ganesha in cage)। ১২ শতকের স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরেই সেটি অবস্থিত। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো (UNESCO) কুতুব মিনার-সহ গোটা চত্বরকে বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে হেরিটেজ সাইটের তকমা দেয়।