সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ, তা সে যত দামিই হোক না কেন, ভক্তের কাছে তা কমই মনে হয়। তাই তো নিজের সবটা উজাড় করে দেওয়ার পরও তাঁর মনে হয়, আরও কিছু দিতে পারলে তৃপ্তি হত। হয়ত সে কারণে ধর্মস্থানে অনেক কিছু দেওয়ার পরও নিজের নাম, পরিচয় গোপন রাখতে চান প্রকৃত ভক্ত। তেমনই এক ঈশ্বরানুরাগীর কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। মু্ম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে সিদ্ধিদাতার প্রতি তিনি উৎসর্গ করেছেন ৩৫ কেজি সোনা। তবে দাতা নিজের নাম কিছুতেই প্রকাশ্যে আনতে দেননি।
মুম্বইয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের মন্দির সিদ্ধিবিনায়ক দেশের অন্যতম ধনী ধর্মস্থান বলে পরিচিত। সেখানে ভক্তদের লক্ষ, কোটি টাকার প্রণামী দেওয়াই রীতি। কেউ দেন নগদ টাকা, কেউ বা সোনা কিংবা অন্যান্য মূল্যবান রত্নসামগ্রী। মন্দিরের ট্রাস্টি সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে গণেশের উপাস্থনাস্থলে দান করা হয়েছে ৩৫ কেজি সোনা। ট্রাস্টির চেয়ারপার্সন আদেশ বন্দেকর জানিয়েছেন যে এক ভক্ত ওই পরিমাণ সোনা দিয়েছেন, যার মূল্য কমপক্ষে ১৪ কোটি টাকা। ওই সোনা মন্দিরের দরজা এবং ছাদের কাজে লাগানো হয়েছে বলেও জানান বন্দেকর। তা দেখে চোখে ধাঁধা লেগে যাওয়ার জোগাড়। তবে সিদ্ধিদাতার এই ভক্তের নামধাম কিছুই প্রকাশ করেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ, প্রশান্ত কিশোরকে ছেঁটে ফেলছে জেডিইউ!]
জানুয়ারির মধ্যভাগে ১৫-১৯ তারিখ পর্যন্ত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকে। এরপর সিদ্ধিদাতার মূর্তিকে রং করে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর খুলে দেওয়া হয় দ্বার। সেইসময়ই সকলের অগোচরে ৩৫ কেজি সোনা মন্দিরে দিয়ে গিয়েছেন ওই ভক্ত। তবে এর সবটাই যে মন্দিরের কাজে লাগানো হবে, তা নয়। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান আদেশ বন্দেকর জানিয়েছেন, ”এই দানের পুরোটা যে আমরা মন্দিরের কাজে লাগাই, তা নয়। সমাজকল্যাণমূলক কাজেও তা ব্যবহৃত হয়। অন্তত ২০ হাজার মানুষ, যাঁরা মন্দির চত্বরে ঘুরে বেড়ান, তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করি। এই বাবদ আমরা মোট ৩৮ কোটি টাকা খরচ করেছি।” তবে এই সব ছাপিয়ে এখন শুধুই আলোচনায় ভক্তের দান করা ৩৫ কেজি সোনায় আরও কত রূপ খুলছে মন্দিরের।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলছে ভারতের মন্দা, উদ্বেগ আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের]
The post গণেশের চরণে ৩৫ কেজি সোনা উৎসর্গ, ভক্তের দানে সাজছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির appeared first on Sangbad Pratidin.